-0.1 C
Toronto
বুধবার, মার্চ ১২, ২০২৫

আরেকটি স্বাধীনতা গণভোটের পথে কুইবেক?

আরেকটি স্বাধীনতা গণভোটের পথে কুইবেক?
২০১৮ সালের নির্বাচন এটা প্রমাণ করে যে কুইবেকের রাজনীতিতে বিচ্ছিন্নতাবাদ আর বড় কোনো বিষয় নয়

কুইবেকের স্বাধীনতা আন্দোলনের যে পুনর্জন্ম হবে দশ বছর আগেই সেই ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন জাঁ-ফ্রাসোয়া লিসি। ২০১৫ সালে তিনি বলেছিলেন, সঠিক পরিস্থিতে এটি আবার উঠে আসবে। তবে তাকে জাগিয়ে তুলবে কোনটা, সেটা আমি বলতে পারছি না।

তিন বছর পর সার্বভৌমত্বপন্থী পার্টি কুইবেকোয়িসের নেতা লিসি তার রাইডিংয়ে পরাজিত হন এবং তার দলের আসন কমে আসে ১০টিতে। ওই সময় ফ্রাসোয়াঁ লেগু নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন অ্যাভেনির কুইবেক ক্ষমতায় আসে।

- Advertisement -

২০১৮ সালের নির্বাচন এটা প্রমাণ করে যে, কুইবেকের রাজনীতিতে বিচ্ছিন্নতাবাদ আর বড় কোনো বিষয় নয়। জরিপে এই ভবিষ্যৎবাণীও উঠে আসে যে, পার্টি কুইবেকোয়িসের দিন শেষ হয়ে আসছে। প্রদেশের নতুন নেতা গণভোট না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বড় ধরনের বিজয়ের মধ্য দিয়ে কুইবেকবাসী তার প্রতিদানও দিয়েছে।

জয়ের পর লেগু বলেন, ৫০ বছর ধরে আমাদেরকে বিভক্ত করে রেখেছে যে বিতর্ক কুইবেকের বহু মানুষ তাকে পাশে সরিয়ে দিয়েছেন।

কুইবেকের দ্বিতীয় স্বাধীনতা গণভোটের ৫০ বছর বার্ষিকীতে এসে মনে হচ্ছে, ঢেউ আবার ফিরে আসছে। ক্ষমতার ছয় বছর পর ব্যাপকভাবে অজনপ্রিয় হয়ে পড়েছেন লেগু। সেই সঙ্গে তরুণ ও ক্যারিম্যাটিক নেতার নেতৃত্বে পার্টি কুইবেকোয়িস এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন। কুইবেকে প্রথম স্বাধীনতা গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮০ সালে।

এখন দেখার বিষয় দলটি প্রদেশের বহু পুরোনো স্বাধীনতা আন্দোলনকে নতুন জীবন দেয় কিনা সেটা। ২০৩০ সালের মধ্যে দলটি তৃতীয় গণভোট আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

জনমত জরিপ অনুযায়ী, এই মুহূর্তে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সহজেই উৎরে যাবে পার্টি কুইবেকোয়িস। দলের নেতা অক্সফোর্ড থেকে পড়ে আসা ৪৭ বছর বয়সী পল সেন্ট-পিয়েরে প্লামন্ডন দলে তারুণ্যের শক্তি ঢুকিয়ে দিয়ে খাদের কিনার থেকে ফিরিয়ে এনেছেন।

দলের তরুণ শাখার নেতা এমিলে সিমার্ডের বিশ্বাস, দলের জনপ্রিয়তা কুইবেকের স্বাধীনতার ক্ষুধা নতুন করে জাগিয়ে তুলবে। তিনি বেড়ে উঠেছেন সাগুয়েনে-লাক-সেইন্ট জাঁ রিজিয়নের একটি সার্বভৌমত্বপন্থী পরিবারে। বয়স যখন ১৬ বছর তখনই তিনি দলের সদস্যপদ নেন।
এখন তার বয়স ২২ বছর। তিনি বলেন, ১৯৯৫ সালের গণভোটের পর স্বাধীনতার কারণ কিছুটা বদলে গেছে। এক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের দিকে বিশেষভাবে ইঙ্গিত করেন তিনি।

তবে ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ অন পাবলিক পলিসির সেন্টার অব এক্সিলেন্স অন দ্য কানাডিয়ান ফেডারেশনের নির্বাহী পরিচালক চার্লস ব্রেটন বলেন, স্বাধীনতা এখনো জনগণের প্রধান আগ্রহের বিষয় নয়। তবে কুইবেকের আগামী নির্বাচনে ২০১৮ সালে তোলা পুরোনো সেই প্রশ্ন যে ফিরে আসবে তেমনটাই মনে হচ্ছে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles