
নতুন ভ্যারিয়েন্টটি কানাডাজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করায় যেকোনো সময় প্রদেশগুলোকে লকডাউনে ফিরতে হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তেরেসা ট্যাম। পাশাপাশি যেসব প্রদেশের সরকার লকডাউন তুলে নিচ্ছে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপারে তাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।
করোনাভাইরাসের নতুন নতুন ধরণ যাতে কানাডায় প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য নতুন পদক্ষেপের কথা ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও। এর অংশ হিসেবে স্থল সীমান্ত দিয়ে কানাডায় প্রবেশকারীদের ক্ষেত্রে কোভিডমুক্ত সদন প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা করছেন তিনি।
ডা. তেরেসা ট্যাম বলেন, করোনাভাইরাসের নতুন ভাইরাসটি বহনকারী কানাডিয়ানদের সঠিক চিত্র আমাদের হাতে নেই হয়তো। কিন্তু তারা কানাডায় সংক্রমণের প্রধান উৎস হয়ে উঠতে পারেন। সংক্রমণ বৃদ্ধির আলামত দেখা দেওয়ামাত্র দ্রুত স্বাস্থ্যবিধি চালু করতে হবে। তাৎক্ষণিক সংক্রমণকে থামিয়ে দিতে হবে আমাদের।
গত সপ্তাহে কানাডায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। তেরেসা ট্যাম একে চমৎকার বললেও নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
তিনি বলেন, কানাডায় নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা গত সপ্তাহে দ্বিগুণ হয়েছে। যুক্তরাজ্যে সনাক্ত হওয়া বি১১৭ ভ্যারিয়েন্টটি কানাডায় কোভিড-১৯ সংক্রমণের সবচেয়ে বড় উৎস হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। সার্স-কভ-২ ভাইরাসের চেয়ে এটি ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। এটির কারণে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে থামানো মুশকিল।
সংক্রমণের সংখ্যা কমতে থাকায় বেশ কিছু প্রদেশ আরোপিত কঠোর লকডাউন তুলে নেওয়া শুরু করেছে। অন্টারিও এবং কুইবেকে মঙ্গলবার সর্বনিম্ন রোগী সনাক্ত হয়েছে। সোমবার থেকেই কুইবেক বিধিনিষেধ শিথিল করতে শুরু করেছে। আগামী সপ্তাহেই প্রদেশের অধিকাংশ অঞ্চল এবং ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে টরন্টোর আশাপাশের হটস্পটগুলোর ওপর থেকে স্টে-অ্যাট-হোম আদেশ তুলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে অন্টারিও।