-3.8 C
Toronto
বুধবার, মার্চ ১২, ২০২৫

আমাদের বাড়ি, শান্তির নীড়

আমাদের বাড়ি, শান্তির নীড়
আমাদের গ্রামের সাধারণ একটি ছোট্ট বাড়ি যেখানে আমার ঘুম ভালো হয়

আমাদের গ্রামের সাধারণ একটি ছোট্ট বাড়ি, যেখানে আমার ঘুম ভালো হয় ।

আমার বাবা-মা চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন ওখানে তাই ওখানে যাওয়া মানে তাদের কাছে যাওয়া, যদিও সেই যাওয়াতে পোহাতে হয় অনেক ঝক্কি ঝামেলা ! তা সত্ত্বেও যাই, অন্তত আমাকে তো আর বিদ্যাগরের মতো রাতের আঁধারে দামোদর যদি পার হতে হয় না !!

- Advertisement -

বাড়িটির বয়স প্রায় ২৫ বছর। এখন আসে পাসে অনেক ফ্যান্সি বাড়িঘর দেখা যায়।  যদিও আমাদের বাড়িতে আধুনিক অনেক কিছুই নেই তথাপি দেশে গেলে একমাত্র ওখানেই আমার ভালো ঘুম হয় এবং নির্ভেজাল সময় কাটে, তবে এই বার আমার বোন-দুলাভাইয়ের অবসরের পরে বরিশালে তাদের গ্রামে যে বাড়ি করেছেন ওখানেও বেশ ভালো লেগেছে। পরবর্তী পোস্টে সেটির ২/১ ক্লিপ দিবো।

ঢাকা বলতে গেলে এখন একটি গার্বেজ ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে এবং সাথে সাথে বিভাগীয় এবং জেলা শাহরগুলিও সেই পথে হাটছে।

এইবার হটাৎ করে খুব অল্প সময়ের জন্যে গেলেও ২/৩টি জায়গায় যাওয়া হয়েছে কিন্তু দিন শেষে এই বাড়িতে না আসলে ভালো লাগে না।

আমাদের বাড়ি, শান্তির নীড়

যেটা বললাম, এখানে কোনো AC নেই, নেই কোনো সাপ্লাইয়ের পানি, ইত্যাদি আরো কিছু জিনিসের অভাব, তারপরেও এখানে ঘরের ছাদের অনেকটা অংশে গাছের ডাল-পাতা দিয়ে ঢাকা তাই ঘরের মধ্যেও বাইরের নির্মল বাতাস আসে, আবার উঠানে বা আঙিনায় বসে শীতে রৌদ যেমন পোহানো যায় তেমনি গরমে গাছপালার কিছু বাতাসও পাওয়া যায়।

সকালে তো থেকেই, দিনের বেলাতেও ২/৪টি পাখির ডাক শোনা যায়।

এখানে এবং কানাডাতে গ্রীষ্মে কেম্পিংয়ে গেলে জঙ্গলে তাঁবুর মধ্যে আমার সব থেকে ভালো ঘুম হয়। আমি ছোটবেলা দেশে ছোট ছোট শহরগুলিতে মানুষ হলেও আমার মধ্যে এই গাছ-পালা বা নদীনালা কিভাবে যেন ঢুকে গেছে। এগুলিতে আমি কখনো অতিষ্ট হই না।

এখন প্রশ্ন হলো যেভাবে দেশে শহরায়ণ হচ্ছে তাতে এই পরিবেশ কতদিন বজায় থাকবে !!!

জানিনা আল্লাহতালা জীবনের শেষ দিনগুলি কোথায় কাটানোর ব্যবস্থা করবেন।

এই বার প্রায় ৩০/৪০ বছর পরে আমার বোনের বরিশালে বাড়িতে গিয়ে ডুমুর গাছ দেখেছি, তাদের বাড়িরই পাশের বাগানে।

গ্রামের মানুষের বাড়ির আঙিনায় হওয়া লাউ, পালং শাক, চাচির গাছের বেগুন, ক্ষেতের কলি শাক, স্থানীয় মানুষদের ধরা নদীর মাছ ইত্যাদি বোনেরা বা দুলাভাই/ভগ্নিপতি খাইয়েছেন, বেশ ফ্রেশ এবং ভালো লেগেছে।

সবাই না পারলেও আমার বড়ো বোন একেবারে তেল ছাড়া বা কিঞ্চিৎ তেল দিয়ে রান্না করা একবার দেখিয়ে দেওয়ার পরে ভালো ভাবে রপ্ত করেছে এবং খুব সুস্বাদু রান্না করছে।  সে এবং তার বর  দুজনেই আমি যে কদিন ছিলাম সে কয়দিন সবজায়গাতেই আমাদের সাথে সাথে থেকেছে, make sure করার জন্য যাতে আমরা ঠিক থাকি।

এই সময় এইটা খুব কম লোকে করে।

আল্লাহ তাদের মঙ্গোল করুন এবং সুস্থ রাখুন।  তাছাড়া আমার আগে যেন আল্লাহ তাদেরকে পৃথিবী থেকে না নেন।

বাংলাদেশ থেকে ফিরে।

স্কারবোরো, কানাডা

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles