7.8 C
Toronto
রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

স্বামীকে ডিভোর্সের পর প্রেমিককেও হারাতে বসেছেন তরুণী

স্বামীকে ডিভোর্সের পর প্রেমিককেও হারাতে বসেছেন তরুণী - the Bengali Times
ছবি সংগৃহীত

হবিগঞ্জের লাখাইয়ে বিয়ের দাবিতে প্রবাসী প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক নারী। তিন দিন ধরে তিনি প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এদিকে প্রেমিকার আসার আগেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেমিক যুবক। ইতোমধ্যেই তিনি দেশ ছেড়ে গেছেন বলেও দাবি করা হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মোড়াকরি গ্রামে।

প্রেমিক রাজিব বনিক (৩০) ওই গ্রামের রবিন্দ্র বনিকের ছেলে। তিনি সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী। প্রেমিকা কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার মিঠামইন গ্রামের বাসিন্দা।

- Advertisement -

অবশেষে শুক্রবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় ওই নারীকে রাজিবের ফুফা সত্য বনিকের বাড়িতে নিয়ে রাখা হয়।

এদিকে প্রেম করে এখন দুই কূলই হারাতে বসেছেন ওই নারী। ফঁসকে যেতে চাচ্ছেন প্রেমিক, ফেলে এসেছেন স্বামীকেও। এ অবস্থায় তিনিও বিয়ের দাবিতে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। হয় এবার স্ত্রীর মর্যাদা পাবেন, না হয় মরবেন। তবুও তিনি ফিরে যাবেন না বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই নারী বলেন, প্রায় ৮ বছর আগে আমার পরিবার আমাকে অন্য এক জায়গায় বিয়ে দেয়। সেখানে আমি আমার শাশুড়ির মোবাইল ফোন ব্যবহার করতাম। হঠাৎ একদিন সাউথ আফ্রিকা থেকে ভুলে ফোন দেয় রাজিব বনিক। তখন রং নাম্বার বলে আমি ফোন কেটে দেই। এরপর থেকে প্রায় সময়ই রাজিব ফোন দিত। বিরক্ত করত। আমাকে সাউথ আফ্রিকা নেওয়ার প্রলোভন দেখাত। একপর্যায়ে আমাকে সে পটিয়ে ফেলে। তখনই আমাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এভাবে কথা বলতে বলতে তার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে সে আমাকে বলে স্বামীকে ডিভোর্স দিতে। তার কথার ওপর ভিত্তি করেই আমি ডিভোর্স দিই; কিন্তু এক মাসের কথা বলে আজ আট বছরের প্রেম।

তিনি আরও বলেন, আমি লাশ হয়ে যাব, না হয় রাজিব বনিক আমাকে নিয়ে সংসার করবে। আমি তার সংসার করতে চাই।

মোড়াকরি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেম মোল্লা জানান, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের পরিচয় এবং প্রেম হয়েছে। কয়েক বছর ধরে প্রেম চলছে। প্রায় ছয় মাস আগে সে আরও একবার এভাবে চলে এসেছিল। তখন তাকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়। এবার আর বুঝিয়ে রাজি করা যাচ্ছে না।

লাখাই থানার ওসি বন্দে আলী বলেন, আমি মেয়ের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। মেয়ের বাবাকে বলেছি তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য; কিন্তু তিনি বলছেন, ‘মেয়ে তার কোনো কথা শুনে না। প্রেমিকের জন্য ইতোমধ্যে মেয়ে কয়েকবার বিয়ে ভেঙে দিয়েছে।’

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles