-2.8 C
Toronto
বুধবার, মার্চ ১২, ২০২৫

প্রিন্সেস ডায়ানা সম্পর্কে বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করলেন সাবেক প্রেমিক!

প্রিন্সেস ডায়ানা সম্পর্কে বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করলেন সাবেক প্রেমিক!
প্রিন্সেস ডায়ানা ও জেমস হিউইট

প্রিন্সেস ডায়ানা, ব্রিটিশ রাজপরিবারের বধূ ছিলেন। তার প্রেম নিয়ে গুঞ্জনের শেষ ছিল না। ভালোবাসা, সংসার ও ত্রিভুজ প্রেমের নায়িকা ছিলেন তিনি। তাই তো মৃত্যুর ২৭ বছর পরেও সংবাদের শিরোনাম হন প্রিন্সেস ডায়ানা।

ডায়ানার একজন প্রেমিক ছিলেন জেমস হিউইট। তাদের মধ্যে সম্পর্কটা ছিল ১৯৮৬–১৯৯১ সাল পর্যন্ত। হিউইটের কাছে ঘোড়া চালানোর প্রশিক্ষণ নিতেন ডায়ানা। সেই থেকে প্রেম।

- Advertisement -

১৯৯৫ সালে বিবিসির ‘প্যানোরামা’ অনুষ্ঠানে হিউইটের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করেন ডায়ানা। বলা যায় ওই অনুষ্ঠানে তিনি বিষয়টি স্বীকার করতে বাধ্য হন। আর এই সম্পর্কের বিস্তারিত উঠে আসে ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত ব্রিটিশ লেখক আনা পাস্তারনাকের ‘প্রিন্সেস ইন লাভ’ বইয়ে। তাতে মানসিকভাবে ভীষণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন ডায়ানা। বইটির ওপর ভিত্তি করে সিনেমা ও সিরিজও তৈরি হয়েছে। যাইহোক, সে সময় এমন গুজবও রটেছিল যে, প্রিন্স হ্যারির বাবা নাকি এই জেমস হিউইট! যা পরবর্তী সময়ে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ডায়ানার সেই প্রেমিক হিউইট এমন তথ্য ফাঁস করেছেন যা আগে কেউ জানতো না। জেমস হিউইট ‘গুড মর্নিং ব্রিটেন’কে এই সাক্ষাৎকার দেন তিনি।

৬৬ বছর বয়সী হিউইট জানান, ডায়ানা তার দুই সন্তানের (প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি) সম্পর্কের অবনতি হলে কী হবে, সে বিষয়ে দুশ্চিন্তা করতেন (যা সময়ের সঙ্গে সত্যি হয়েছে)।

জেমস হিউইট বলেন, “যেকোনও মায়ের বেলায় সন্তানদের সম্পর্কে চিড় ধরা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা স্বাভাবিক। তিনি (ডায়না) সব সময় দুই সন্তানের সম্পর্ক কীভাবে ভালো, বন্ধুত্বপূর্ণ রাখা যায়, সে জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেন।”

জেমস হিউইট এখন ইউক্রেনে যুদ্ধাহতদের পুনর্বাসনে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করছেন। সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি সর্বশেষ প্রিন্সেস ডায়ানাকে নিয়ে কথা বলেছিলেন ১৯৯৫ সালে বিবিসির প্যানোরামার ওই সাক্ষাৎকারের পর। সে সময় ব্রিটিশ সাংবাদিক মার্টিন বশিরের প্রশ্নের উত্তরে প্রিন্সেস ডায়ানা তাদের সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিলে হিউইটের ব্যক্তি ও পেশাজীবন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জেমস তখনও ডায়ানার সঙ্গে সম্পর্ক থেকে ‘মুভ অন’ করার জন্য ভেতরে ভেতরে সংগ্রাম করছিলেন।

ডায়ানার দেওয়া ওই সাক্ষাৎকার প্রচার হওয়ার পর ব্রিটিশ ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া জেমস হিউইটের পেছনে উঠেপড়ে লাগে। আর এমন সময় আন্তর্জাতিক মিডিয়া তাকে ‘লাভ র‍্যাট’ হিসেবে আখ্যায়িত করে। তিনি চাকরিচ্যুত হন, সুনাম নষ্ট হয়, মানসিকভাবে বিপন্ন হয়ে পড়েন। এরপর বহু বছর জেমস হিউইট জনসমক্ষে আসেননি। জীবন যাপন করেছেন লোকচক্ষুর আড়ালে।

হিউইট জানান, বিবিসির ওই সাক্ষাৎকারের আগে প্রিন্সেসকে কী কী প্রশ্ন করা হবে, তা জানানো হয়েছিল। তারপর ডায়ানা সাক্ষাৎকার দিতে সম্মত হন। কিন্তু সাক্ষাৎকারে অনৈতিকভাবে ভিউ, টাকা ও শোরগোলের লোভে হিউইটের সঙ্গে ডায়ানার সম্পর্কের বিষয়টি তুলে আনা হয়।

হিউইট বলেন, “এরপর আমি বুলিং, কটাক্ষ আর অজস্র নেতিবাচক মন্তব্যে অত্যন্ত মর্মাহত আর আতঙ্কিত হয়ে পড়ি।”

হিউইট সে সময় ছিলেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যদের অশ্বচালনা প্রশিক্ষক। প্রিন্স উইলিয়ামস ও প্রিন্স চার্লসের কাছে ‘ফাদার ফিগার’ ছিলেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে হিউইট তা অস্বীকার করে বলেন, “আমি তাদের সঙ্গে খেলতাম, সাঁতার কাটতাম, ঘোড়া চালানো শেখাতাম। সেটা ছিল পেশাগত দায়িত্বের সম্পর্ক।”

এদিকে ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি তার স্মৃতিকথা ‘স্পেয়ার’–এ ‘হিউইট তার বাবা’—এই গুজব সম্পর্কে লেখেন, “এটা খুবই হাস্যকর। গুজবটার একটা কারণ হতে পারে হিউইটের চুল লাল (হ্যারির চুলও লাল, এদিকে চার্লস বা ডায়ানা কারও চুলই লাল নয়)। আরেকটা কারণ হতে পারে মানসিক বিকার।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles