
আমার সকালের ব্রেকফাস্ট। আর দুপুরে এক কাপ ভাত উইথ সবজি ও মাছ। বিকেলে একটা ফ্রুট। রাতে সামান্য কিছু।
অনেক তো হলো, এবার তো শরীরের প্রতি দরদী হতে হবে। ঘরেই করে নিচ্ছে যোগব্যায়াম। সতের বছর আগে যখন এসেছিলাম তখন ৫ ফুট সাড়ে সাত ইঞ্চি ওজনের সঙ্গে ৫৫ কেজি ওয়েট ছিলাম। উচ্চতা অনুযায়ী এই ওজন তখন একেবারেই ছিপছিপে দেখাত। আমি অবশ্য সাধ করে ওজন বাড়ানোর দলে ছিলাম না কখনোই। সতের বছর পরে কিছুটা বাড়লেও দেখতে চিকনই লাগছে অনেকটা।
দেশে থাকতেই বিয়্যাম করার একটা অভ্যাস আছে। এখনো সেটা ধরে রেখেছি। তবে মাঝে মাঝে হয় না। ঘরেই করে নিচ্ছি বেশ কঠিন কয়েকটা যোগবিয়্যাম। সম্প্রতি বাংলাদেশের একজন সেলিব্রেটি কয়েকটা যোগ বিয়ামের ভিডিও ও ছবি আপলোড করেছেন। তা নিয়ে ঝড় উঠে গেছে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন এমনটা করা কঠিন। হ্যাঁ, অবশ্যই অতটা সহজ না। তবে তার সবকটাই আমি করতে পারি বেশ smoothly. আপনারাও পারবেন। আমার husband কে বললাম দেখ, যোগ বিয়্যাম। তিনি বললেন, “তোমার মতো করে আমি তো একটাও করতে পারব না।” যদিও তিনি রাতে এক মাইল জোরে জোরে হেঁটে আসেন। ওনার বেলি ফ্লাট রেখেছেন। আর আমার যোগ বিয়্যাম করার গোপন উদ্দেশ্য ওটাই। নারী বা পুরুষের বেলিটা দমন বা ফ্লাট রাখতে পারা এক যুগান্তকারী ব্যাপার। এতটা সহজ না। বেলি দমন রাখা যতটা সহজ না, মুহূর্তে বিশাল হওয়াটাও খুব সহজ। হা হা হা…
আর একটা কথা মনে রাখবেন, আমি কেন এটা শেয়ার করলাম আপনাদের সঙ্গে? কারণ আমি আপনাদের অনুপ্রাণিত করতে চাই। আমি চাই আপনারাও যে কোনোভাবে শরীরচর্চা করুন। জিমে যান। সেটা না হলে হাঁটুন জোরে জোরে একা একা। দুইজন মিলে প্রেমঘন আলাপ করতে করতে বাদামে ফুঁ দিয়ে আস্তে-ধীরে হাঁটলে কোনো কাজ হবে না। কোনো কিছুর সময় না থাকলে ঘরেই কিছু যোগবিয়্যাম করে ফেলুন। যেমন আমি। সংসারের সকল কাজ শেষ করে, নামাজ পড়ে রাত বারোটা বাজলেও দশ-পনেরো মিনিট বিয়্যামটা করি। মাঝে মাঝে যে বাদ যায় না সেটা বলব না। আপনারাও শুরু করুন। যাদের একটু অলসতা এসে যায় তারা বিশেষ করে।
টরন্টো, কানাডা।