2.6 C
Toronto
সোমবার, মার্চ ১৭, ২০২৫

খেলা শুরু হবে এখন

খেলা শুরু হবে এখন
তামান্না শারমিন

শনিবার রাতে রাজধানী ঢাকার একটি শপিংমল থেকে চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে বান্ডিল বান্ডিল টাকা খরচ করে তাকে কয়েকদিনের মধ্যে জেল থেকে বের করার ঘোষণা দিয়েছেন তার স্ত্রী। ১৭ মামলার আসামি সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তার স্ত্রী টিকটকার তামান্না শারমিন ফেসবুকে একটি ভিডিও বক্তব্য দেন। ভিডিওটি ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিওতে তামান্নাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা কাঁড়ি কাঁড়ি, বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে নিয়ে আসবো। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের ছাড় দেয়া হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার জামাই গ্রেপ্তার হয়েছে। এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। মামলা যখন আছে, গ্রেপ্তার হবেই। আপনারা যারা ভাবছেন, আর কোনোদিন বের হবে না, তাদের জন্য এক বালতি সমবেদনা।’ প্রতিপক্ষকে হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, ‘এতদিন আমরা পলাতক ছিলাম। এখন তোমাদের পলাতক থাকার পালা শুরু। খেলা শুরু হবে এখন।’

- Advertisement -

এর আগে শনিবার রাত ১০টার দিকে বসুন্ধরা শপিং মল থেকে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। গত ৩০শে জানুয়ারি তাকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। ঠিক তার আগের দিন নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমানকে ফেসবুক লাইভে এসে হুমকি দেন সাজ্জাদ হোসেন। ওসিকে বিবস্ত্র করে পেটানোর হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ‘ওসি আরিফ দেশের যে প্রান্তেই থাকেন না কেন, তাকে নগরের অক্সিজেনে ধরে এনে পেটানো হবে। প্রয়োজনে মরে যাবো, কিন্তু হার মানবো না।’ এ ছাড়া পুলিশ কমিশনারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘ওসি আরিফ চাঁদাবাজিসহ আমার সন্তান হত্যায় জড়িত। তাকে যাতে বদলি করা হয়।’

এ ঘটনায় ওসি আরিফুর রহমান থানায় জিডি করেন। পরে তার অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য পুলিশকে দিতে পারলে তথ্যদাতাকে উপযুক্ত অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেন নগর পুলিশের কমিশনার। এদিকে সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার নিয়ে গতকাল দুপুরে নগরের দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ। তিনি বলেন, সাজ্জাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ মোট ১৫টি মামলা আছে। সে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী বড় সাজ্জাদের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে চট্টগ্রামের অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করতো। তিনি বলেন, দুবাইয়ে থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী বড় সাজ্জাদ তাকে সবকিছু নির্দেশনা দেয়। ছোট সাজ্জাদ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ভবন নির্মাণ ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান মালিকদের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের চাঁদা দাবি করতো। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে, তাদের বাড়িতে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভাঙচুর ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করতো। তাকে আদালতে হাজির করে ১৪ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ। সিএমপি কমিশনার বলেন, ছোট সাজ্জাদ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। সে রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, বায়েজিদ, চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশ এলাকার ত্রাস সৃষ্টিকারী। সাজ্জাদ বায়েজিদ থানার আলোচিত ডাবল মার্ডার মামলার আসামি। চান্দগাঁও থানারও একটি খুনের মামলার আসামি সে। বায়েজিদ, চান্দগাঁও ও মোহরাকেন্দ্রিক সব ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতো সে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles