
বলিউড তারকা সালমান খান এবং ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সম্পর্ক বলিপাড়ার ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাদের সম্পর্ক ছিল খুব আলোচিত ও অনেকটা বিতর্কিত। ১৯৯৯ সালে ছবি ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ এর মাধ্যমে তাদের সম্পর্কের শুরু হয়। ঐশ্বরিয়া ও সালমান খান পর্দায় একসঙ্গে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন এবং তার পর থেকেই তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে।
তবে, তাদের সম্পর্কের শুরুটা ছিল বেশ রোমান্টিক, কিন্তু কিছু সময় পরে তা তিক্ততার দিকে এগোতে থাকে। সালমান খান ঐশ্বরিয়ার প্রতি তার বেশ দখলদারি মনোভাব এবং নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে শুরু করেন। এর ফলে ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সঙ্গে সম্পর্কের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হয়। ২০০২ সালের পরে তারা আলাদা হয়ে যান।
তার পরেই নাকি বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। এ খবর ছড়ানোর পরে বিবেকের কাছে নাকি সালমানের তরফ থেকে হুমকিও গিয়েছিল। তবে সেই সম্পর্কও টেকেনি। এই নিয়ে আজও জল্পনা চলে। সম্প্রতি মুম্বাইয়ের এক সাংবাদিক এ বিষয়ে বিস্ফোরক এক দাবি করেছেন।
ঐশ্বরিয়া ও বিবেকের মধ্যে নাকি কখনো তেমন সম্পর্ক গড়েই ওঠেনি। এ খবর স্রেফ গুজব বলে দাবি সাংবাদিকের। আর এই গুজবের কারণেই আরও দূরত্ব বাড়ে সালমান ও ঐশ্বরিয়ার মধ্যে, এমনও জানিয়েছেন সেই সাংবাদিক। এত দিন ধরে যে খবর ছ়ড়ানো হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি তার। সেই সাংবাদিকের কথায়, ‘বলা হয়, সালমান খানের পরে ঐশ্বরিয়া সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে। এ খবর সর্বৈব মিথ্যে।’
তা হলে কেন সালমান ও ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদ হয়েছিল? সাংবাদিক জানিয়েছেন, ঐশ্বরিয়ার বাবা-মা এই সম্পর্ক নিয়ে ধন্দে ছিলেন। সাংবাদিক বলেছেন, ‘তারা ভাবতেন, হয়তো মেয়ের সঙ্গে শুধু প্রেম নিয়ে রঙ্গরসিকতা করছেন সালমান খান।’ তবে এ ঘটনার অন্য আর একটা দিকও শোনা যায়।
সেই সময়ে নাকি ঐশ্বরিয়াকে বিয়ে করে থিতু হতে চেয়েছিলেন সালমান। কিন্তু রাজি ছিলেন না অভিনেত্রী। তিনি কাজে মনোযোগ দিতে চেয়েছিলেন।