
সম্প্রতি এক অবাক করা ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের এক তরুণীর সঙ্গে। সেই তরুণী তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধবীর বিয়েতে অংশ নেওয়া থেকে সরে দাঁড়ান, যখন তিনি জানতে পারেন যে কেবল বিয়েতে উপস্থিত থাকার জন্যই তার খরচ হবে ১,০০০ মার্কিন ডলারের বেশি ( বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২১৯০০ টাকা)।
রেডিটে দেওয়া এক পোস্টে ওই তরুণী জানান, দীর্ঘদিনের বন্ধবী মেগান যখন তাকে ব্রাইডসমেইড হতে বলেছিলেন, তখন তিনি ভীষণ উচ্ছ্বসিত ছিলেন। কিন্তু সেই উচ্ছ্বাস দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। কারণ, কিছুদিন পরেই তিনি একটি ইমেইল পান, যেখানে প্রত্যেক ব্রাইডসমেইডকে (বিয়ের দিনে কনের সঙ্গী) বিপুল টাকা খরচের জন্য বলা হয়।
মেগান তার ইমেইলের সঙ্গে একটি স্প্রেডশিট সংযুক্ত করেন, যেখানে ব্রাইডসমেইড পোশাক, চুল ও মেকআপ, কনের জন্য উপহার, ব্যাচেলরেট পার্টির ডিপোজিট এবং অতিরিক্ত অন্যান্য খরচসহ মোট খরচের হিসেব দেওয়া ছিল।
এমন ইমেইল পাওয়ার পর ওই তরুণী মেগানকে জানান, এই খরচ তার সাধ্যের বাইরে।
তবে মেগান তার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন এবং বলেন, বর্তমানে বিয়ের ক্ষেত্রে এ ধরনের খরচ স্বাভাবিক।
মেগান বলেন, ‘আমি শুধু চাই আমার বিয়েতে সব কিছু নিখুঁত হোক, আর এ খরচগুলো প্রয়োজনীয়। যদি তুমি আমার বিয়েতে অংশ নিতে না পারো, তবে আমি বাকিদের জন্য পরিকল্পনা বদলাতে পারব না।’
এই ঘটনার পর রেডিটে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। অনেকেই বলেন বিয়েতে অংশগ্রহণের জন্য ব্রাইডসমেইড ও অন্যান্যদের ওপর যেভাবে আর্থিক চাপ সৃষ্টি করা হয়, তা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
একজন মন্তব্য করেন, ‘তাকে ৫০ ডলারের অ্যামাজন গিফট কার্ড পাঠাও, শুভ কামনা জানাও এবং বিদায় বলো।’
আরেকজন বলেন, ‘কেন মানুষ মনে করে যে, কোনো বিয়েতে অংশ নেওয়া এমন এক বিশাল সৌভাগ্য, যাতে এমন খরচ মেনে নিতে হবে? ধন্যবাদ, কিন্তু না।’
অন্য একজন লেখেন, ‘তোমার প্রিয় বান্ধবী একেবারে ব্রাইডজিলা হয়ে গেছে। সে যদি সত্যিই তোমার সেরা বন্ধু হতো তাহলে বুঝতো, সে যা চাইছে তা তোমার ও বাকিদের জন্য অনেক বেশি। সে চাইছে সবাই যেন তার বিয়েতে অংশ নিতে প্রায় ১,১০০ ডলার খরচ করে। এটা বন্ধুত্ব নয়, নিজের অবস্থানে দৃঢ় থাকো।’