
কোনো ওপিয়ড ওভারডোজ ব্যক্তি যদি সামনে পড়েন, সেই সম্ভাবনা থেকে গবেষক বেঞ্জামিন লিউং একটি ন্যালোক্সন কিট সঙ্গে নিয়েছিলেন। তিনি স্বীকার করেন, এটা এতটাই বাস্তব যে, অনেকটা আগুনের সময় অগ্নিনির্বাপককে সঙ্গে রাখার মতো।
লিউং এখন যেখানে মাদকে বিষক্রিয়ার ঘটনা ঘটে সেগুলোর কাছাকাছি ট্রানজিট লোকেশনগুলোতে ওভারডোজ-রিভার্সিং নতুন কৌশল গ্রহণের পক্ষে কথা বলছেন। কৌশলটির সুবিধা উল্লেখ করে প্রণীত এক গবেষণার সহ-লেখক হওয়রা পর এই পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।
লিউং বলেন, আমরা শুধু জানতে চাই, কোথায় আমি এটা পেতে পারি, যা তৎক্ষণাৎ ব্যবহার করা যায়।
গবেষণাটি গত ১৭ মার্চ কানাডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা গেছে, একটি পাবলিক ট্রানজিট লোকেশনে ন্যালোক্সন কিট রাখার ফলে ড্রাগ ওভারডোজ কমানো সম্ভব হয়েছে। গবেষণায় মেট্রো ভ্যানকুভারের লোকেশনগুলোতে ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১৪ হাজার ৮৯টি মাদক বিষক্রিয়ার তুলনা করা হয়েছে। এজন্য ৬৪৭টি লোকেশনে বাড়িতে নেওয়ার জন্য ন্যালোক্সন সরবরাহ করা হয়। এই লোকেশনগুলোর আওতায় ছিল ৩৫ শতাংশ মাদক বিষক্রিয়া, যার অর্থ হচ্ছে এগুলো তিন মিনিট হাঁটার দূরত্বে। এর বিপরীতে মাত্র ১০টি ট্রানজিট স্টপে ন্যালোক্সন রাখার ফলে ২০ শতাংশের বেশি মাদক বিষক্রিয়া এর আওতায় চলে আছে। এক হাজারটি লোকেশনে এই কিট রাখা গেলে ৫৩ শতাংশে বেশি মাদক বিষক্রিয়া এর আওতায় চলে আসত।
লিউং ডিউক ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ডাকোটার একজন গবেষণা ফেলো এবং সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো থেকে হেলথ সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন। তিনি বলেন, কতটা নিয়মিত আমরা ন্যালোক্সন কিট সঙ্গে রাখব, বর্তমান কর্মসূটি সেই প্রশ্ন তুলে ধরেছে।
লিউং বলেন, তার ব্যাকপ্যাকে একটি কিট আছে। কিন্তু সব সময় তিনি ব্যাকপ্যাকটি বহন করেন না। যেমনটা সব সময় আমরা অন্নিনির্বাপক বহন করি না।