19 C
Toronto
মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৫

টিএনজেডের ৪ কারখানাই বন্ধ করে দেওয়া হবে: শ্রমসচিব

টিএনজেডের ৪ কারখানাই বন্ধ করে দেওয়া হবে: শ্রমসচিব - the Bengali Times

সরকার দুই দফায় টিএনজেড গ্রুপকে টাকা দিয়েছে। তবুও কোম্পানিটি কারখানার শ্রমিকদের বেতন বকেয়া থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।

- Advertisement -

তাই টিএনজেডের চারটি কারখানাই বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান।
মঙ্গলবার (০৮ এপ্রিল) সচিবালে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আরএমজি বিষয়ক ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (আরএমজি-টিসিসি) ২০তম সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

শ্রমিসচিব বলেন, দুই দফায় টিএনজেডকে টাকা দিয়েছে সরকার। কিন্তু কোম্পানিটির ৪টি কারখানার শ্রমিকদের বেতন বকেয়া থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। এই কোম্পানি আর চালানো যাচ্ছে না। নভেম্বরে ১৬ কোটি টাকা দিয়েছি, এখন আবার ১৭ কোটি টাকা বকেয়া হয়েছে। আবার কোরবানিতে ১৫ কোটি টাকা বকেয়া হবে, এটা তো হতে পারে না। সিদ্ধান্ত হয়েছে টিএনজেডের চারটি কারখানাই বন্ধ করে দেওয়া হবে। এসব কারখানার শ্রমিক সংখ্যা ৩২০০ জন।

টিএনজেডের ক্ষেত্রে বেক্সিমকো মডেল প্রয়োগ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে ৪০ হাজার শ্রমিকের সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকদের বকেয়া যেভাবে মালিক পরিশোধ করেছে, টিএনজেডের বকেয়াও মালিক পরিশোধ করবে। তাকে দেশে ফিরতে সাতদিন সময় দেওয়া হয়েছে।

সচিব বলেন, শ্রম আইন অনুযায়ী ফ্যাক্টরির সকল শ্রমিকের যাবতীয় পাওনাদি পরিশোধকরণে কর্তৃপক্ষ গৃহীত সার্বিক পদক্ষেপগুলো পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অতিরিক্ত সচিবকে (শ্রম) আহ্বায়ক করে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট ফ্যাক্টরির মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধি এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি আগামী ২২ এপ্রিলের মধ্যে শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধে কর্তৃপক্ষের গৃহীত কার্যক্রমের ওপর সুনির্দিষ্ট প্রতিবেদন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর দাখিল করবে।

প্রতিবেদন দাখিলের পর টিএনজেড লিমিটেডের মালিকপক্ষ যদি শ্রমিকদের আইনানুগ পাওনাদি পরিশোধে ব্যর্থ হয় তবে মালিক ও তার প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ফোজদারি কার্যবিধি রুজু করা হবে। মালিকের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইন্টাপোলের রেড এলার্ট জারি করা হবে।

এএইচএম সফিকুজ্জামান আরও বলেন, শ্রমিকদের পাওনা কত আছে বের করা হবে। সম্পদ বিক্রি করলে কীভাবে কী হবে, সে বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তারা দেবে। আজ থেকে কারখানাটি আমরা হেফাজতে নিয়েছি।

সূত্র : বাংলানিউজ

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles