
বদনা চোরের জাতি যুগে যুগে তার চুরির বৈশিষ্টের প্রমান দেয়।
“”যেভাবে লুট করে নিয়ে গেলো বাটার শো রুম |”” মাছরাঙা নিউজ
মেহেদী হাসানের একটি রোমান্টিক গানের একটি লাইন হলো, “জিসকি ফিতরাত হি দাসনা হো, ও তো দাসেগা”
মানে হচ্ছে যার খাইসলত খোঁচানো/কামড়ানো/ ছেকা দেওয়া সে সেটা করবেই। ঠিক তেমনি যেই জাতির লোকের স্বভাব চুরি করা সেট সেটা করবেই, সে যেই অছিলায় হোক।
আমাকে আমার এক বন্ধু দেশ থেকে আমাকে একটি ভিডিও ক্লিপ পাঠায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে দেশি বেশ কিছু তথাকথিত মুসলিম ভাই দরদী চোরের দল প্যালেস্টাইনের মুসলমানদের ইস্রাইলি আক্রমণের প্রতিবাদের নামে হরি লুটে নেমেছে। এরা সেই একই বদনা চোর, এরা শুধু গণভবনের বদনা চোর তা নয়, এরা যেখানে সুযোগ পাবে সেখানেই চুরি করবে এবং সব সময় কোনো না কোনো অছিলা খুঁজবে এবং কোনো না কোনো দল বা গোষ্ঠীর নাম করে হরি লুটে নামবে। লস এঙ্গেলসের কথা মনে আছে রডনি কিং এর পুলিশ কতৃক হত্যার প্র্রতিবাদে কিভাবে লুটে আর ভাঙচুর করেছিল, তারাও এই জাতীয় বদনা চোর এবং তারা হত্যার প্রতিবাদের নাম হরিলুট নামে, তবে সেগুলি সেই দেশের বিশেষ কোনো একটি গ্রূপ করেছিল এবং সেখানে জাতিগতভাবে ওই কাজে লিপ্ত না। সরি আমি চোরের জাতি বলছি বলে যারা অল্পসংখক কিছু ভদ্রলোক আছেন তারা কিছু মনে করবেন না, কারণ আনুপাতিকহারে অধিকাংশই যখন একই রকম তখন চোরের জাতি বলেই আখ্যায়িত করছি। তাছাড়া এই চোরের জাতির শিক্ষিত, সুশীল, আমলা, বড়ো ব্যাবসায়ীও চুরি করতে দ্বিধাবোধ করে না তাই চোরের জাতি বলাই মানানসই। দুঃখের বিষয় আমিও সেই দেশের সেই জাতির লোক।
এই বদনা চোরেরা শুধু গণভবন, বাটার দোকান, KFCতেই চুরি করবে না, এরা যদি দেখে কোনোকারণে খালেদা জিয়া বা ইউনূসের বাড়িতে কোনো ধরণের বাধা না থাকে সেখানে গিয়েও বদনা বা টয়লেটের সিট্ চুরি করে আনবে।
ভিডিওতে যেই জুতা চোরদের দেখবেন তারা কিন্তু টোকাই বা ছিচকে চোর না, তারা প্যান্ট শার্ট পরা, পাঞ্জাবি-টুপি পড়া দাড়িওয়ালা চোর। কারো কারো মুখে আবার আল্লাহু আকবর বা নারায়ে তগবীর।
এদেরকে ধরে আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলামকে অন্যদের চোখে কলুষিত করার অভিযোগে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য জেলে পাঠানো দরকার। অনেকেই হয়তো এদেরকে হুজুর বলে আখ্যায়িত করবেন, আমি সেটা মনে করিনা কারণ আমি ব্যাক্তিগতভাবে অনেক হুজরকে জানি যাদের কেউ কেউ কোনো না কোনো দল সাপোর্ট করনে এবং অনেক স্বচ্ছ জীবন যাপন করেন, তারা কখনো এই জাতীয় কাজ করবে না। তারা যেই প্রতিবাদে কাজে লাগবে সেটিই করবে, বদনা চুরি বা জুতা চুরি না।
তোমাদের এতো বড়ো হ্যাডম, জায়গামতো বা যারা ইস্রাইলি আগ্রাসনের মূল যোগানদাতা বা যারা এগুলির কোনো প্রতিবাদ না করে চুপ থেকে সহায়তা করছে তাদেরকে কিছু করো। এতো হুঙ্কার শুধু খেটে খাওয়া ব্যাবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানের উপর। পারলে যা আমেরিকান এম্বাসি ভাংচুর কর যারা ইস্রাঈলের এই আগ্রাসনের এক নম্বর সহযোগী। সবার আগে ভাংচুর কর আরবলীগের অফিস যারা এর প্রতিবাদে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, ভাংচুর আর বদনা চুরি করো সৌদি দূতাবাসে, মিশরের দূতাবাসে, জর্দানের দূতাবাসে যাদের রাজা গোপন ইসরায়েলে গিয়ে চুক্তি করে আসে।
পারলে FB এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করো বা বয়কট করো, তার CEO জুকারবাগ তো একজন ইহুদি, বয়কট করো Utube কে। এদের ইস্রাইলি আগ্রাসনের প্রতক্ষ বা পরোক্ষ সহযোগিতা ওই বাংলাদশের বাটার দোকান আর কে এফ সির থেকে ঢের বেশি। মুরোদ নাই তাদের কিছু করার, আছে শুধু নিরীহের উপর জুলুম আর চুরি।
কারো মনে যদি প্রশ্ন আসে আমি কি করছি? হাঁ আমি আমার অবস্থান থেকে আমার সামর্থে যা করছি তা ওদের মতো বদনা চোরদের থেকে অনেক বেশি এবং আল্লাহতালা সেটি দেখছেন।
তোদের যদি বাটা জুতা বা কেএফছি বয়কটের ইচ্ছা থাকে তাহলে তোরা হুট্ করে গিয়ে ভাংচুর আর চুরিচামারি করতে পারিস না। তোরা অন্তর্বতী সরকারকে বল তাদের লাইছেন্স বাতিল করতে এবং তাদের ব্যাবসার বিকল্প বের করে দিতে এবং তাদেরকে সেই সময় দিতে। দুইদিন আগে তো তোরা নিজেই এদের প্রোডাক্ট বেবহার করেছিস। আমি ১০০% নিশ্চিত এই বদনা চোরের অনেকেরই পায়ে ওই বাটার জুতা ছিল এবং পেটের মধ্যে কেএফছীর মুরগি ছিল। ভন্ডর দল, তোরা ৫০০০ লোক যদি ২০০০ নিজের পায়ের বাটার জুতা রাস্তায় ফেলে দিয়ে বা তাতে আগুন ধরিয়ে প্রতিবাদ করতিস তাও কথা ছিল।
এই নিয়ে আবার কেউ কেউ ছাত্রদের দুষবে, অন্য দলকে দোষ দিবে, পতিত দলকে দুষবে এবং এই করে কাজের কাজ কিছুই হবে না। সেটা করা মানে আসল সমস্যার সমাধান না করে শুধু ব্লেম গেম খেলে এই বদনা চোরদের চুরিকে আরও উৎসাহিত করা এবং ইসরাইলের এই নির্মম হত্যাকান্ডকে হালকা করে দেওয়া। আরব বিশ্বের যেই দেশগুলির প্রভাব আছে তারা তেমন কিছুই করছে না, ভাঙলে আগে তাদেরই ভাঙা উচিত। ওই সব আরব দেশের নেতাদের কি বচ্চা নেই, তারা কি নিরীহ বাচ্চার উপর নির্মম অত্যাচার দেখে না।
যাহোক, আমার জন্মদেশে এই চোরদের খাইসলত বদলানোর আবেদনের কোনো জায়গা নেই , আছে শুধু এক আল্লাহতালা। আসেন তার কাছেই আমরা পানাহ চাই এই বদনা চোরের জাতির সুমতির জন্য।
আর, আপনি আপনার সামর্থ মোতে যতটুকু পারেন নির্যাতিত প্যালেস্টাইনীদের জন্য ক্যাশ সাহায্য পাঠান, সেটিই এখন বেশি দরকার। আমি ধন্যবাদ জানাই আমাদের হাফিজ ভাইয়ের ছোট ছেলে পিটুর উদ্যোগের জন্য, সে তার উদ্যোগে অনলাইনে ডোনেশন কালেকশন করে যাচ্ছে। না, সে গলা ফাটিয়ে চিল্লাচিল্লি করে প্রতিবাদের নামে জুতা চুরি করছে না, আল্লাহ তার মঙ্গল করুন।
স্কারবোরো, কানাডা