
আশিক দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পাওয়া গেছে আসবা নাকি? দেশের হাল ধরেই ডক্টর ইউনূস তার বহরে যোগ দিতে কল করলেন সিঙ্গাপুরে আয়েশি আর নিরাপদ জীবন কাটানো আশিক চৌধুরীকে। আর তিনি ইউনূসের একটা ফোন কলেই সিঙ্গাপুরের বিলাসী জীবন আর ক্যারিয়ার ছেড়ে দেশের হাল ধরতে ছুটে এলেন মাতৃভূমির পানে।
প্রথমে হয়তো ভেবেছিলেন, ভঙ্গুর এই দেশের জন্য কী-ই বা করতে পারবেন তিনি।
আশিক চৌধুরী তার কর্মজীবন শুরু করেন ফেব্রুয়ারি ২০০৭ সালে, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোতে আঞ্চলিক অফিসার হিসেবে। এরপর ২০১২ সালের অক্টোবর মাসে আশিক লন্ডনে আমেরিকান এয়ারলাইন্সে ফিনান্সিয়াল ও স্ট্র্যাটেজিক অ্যানালিস্ট হিসেবে যোগ দেন। ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তিনি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং-এ অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আর তারপরই তো ইউনূসের সেই ফোন কল — ৫৯ সেকেন্ডের এক হোয়াটসঅ্যাপ কল তাকে ফিরিয়ে আনে ঢাকায়।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আশিক বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি লোকমান হোসেন মিয়ার স্থলাভিষিক্ত হন। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হন। ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল তাকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হয়।
ধীরে ধীরে দেশকে বৈশ্বিক বিনিয়োগের জন্য উপযোগী করে তুলেছেন আশিক চৌধুরী। তার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিনিয়োগ সম্মেলন, দেশে এসেছে বিশ্বের বড় বড় সব বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান। সেখানে আশিক চৌধুরীর লক্ষ্য — ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ নিশ্চিত করা, যা দেশের তিন কোটি মানুষের জীবন পরিবর্তন করে দেবে। কম হলেও এক লাখ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
ইতিমধ্যেই এলন মাস্কের স্টারলিংক নিয়ে এসেছে, নাসার সাথে চুক্তি করে ফেলেছে বাংলাদেশ।
দায়িত্ব নিয়েই আশিক চৌধুরী বলেছিলেন, “ফেইল করা যাবে না। আমরা জনগণের সরকার, তাই প্রত্যাশা অনেক। অনেকটা জাতীয় ক্রিকেট দলের মতো — সবাই চায় আমরা জিতি।”