8.6 C
Toronto
মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৫, ২০২৫

নির্বাচন হতে হবে নির্বাচনের সময়ে মতন : তারেক রহমান

নির্বাচন হতে হবে নির্বাচনের সময়ে মতন : তারেক রহমান - the Bengali Times
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘সংস্কার কোনো ব্র্যাকেট বন্দি কোনো বিষয় নয়, যে এতটুকু আসলে, এতটুকু হলে গেল। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। যেহেতু আমরা বিশ্বাস করি সেজন্যই আমরা বলি যে নির্বাচন এবং সংস্কার এটি চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কার চলতে থাকবে। কিন্তু নির্বাচন হতে হবে নির্বাচনের সময়ে মতন।
রোববার (১৩ এপ্রিল) রাতে ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রুপরেখা ও নাগরিক ভাবনা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‌‌‘সকলের কাছে আমি একটি প্রশ্ন রাখতে চাই, যারা বলছেন আগে সংস্কার পরে নির্বাচন তাদের ক্ষেত্রে আমরা কি দেখছি। মুখে বলছেন পরে নির্বাচন কিন্তু তারা তো গিয়ে ঠিকই বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করে বেড়াচ্ছেন, বিএনপি তো এটি করছে না।’

- Advertisement -

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অনেককেই দেখছি বলছেন- আগে সংস্কার পরে নির্বাচন। কিন্তু বাস্তবে তারা ঠিক তার বিপরীত কাজটি করছেন, যেটি বিএনপি কখনোই বলে না। বিএনপি করে না। বিএনপি তাই করে যা বিএনপি বলে, যা বিএনপি করে।

দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপি তখনই সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে, যখন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের মহাসচিব থেকে শুরু করে হাজারো নেতাকর্মী জেলে বন্দি। যখন বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী ঘর বাড়ি ছাড়া, গায়বি মামলার জরজরিত তখন বিএনপি সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে। আজ আমরা অনেক মানুষের মুখে শুনতে পাই সংস্কারের কথা। তাদের কতজন ব্যক্তি স্বৈরাচার শেখ হাসিনার রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে সংস্কার কথা করার কথা সাহস করে বলতে পেরেছিলেন। তারা বিএনপির নেতাকর্মীর মতো কতগুলো মামলা খেয়েছেন, কতদিন অত্যাচারিত হয়েছেন? কতজনের ঘরবাড়ি ভাঙা হয়েছে? কতজনকে আদালতের বারান্দায় সপ্তাহে সাত দিনের পাঁচ দিন ঘুরঘুর করতে হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি কেন সংস্কারের কথা বলছে? কারণ বিএনপি অভিজ্ঞতা আছে সেটি বিএনপি সরকারে থাক, বিএনপি বিরোধীদলে থাক। বিএনপির সকল সময়ে জনগণের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। আমাদের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু আমরা সকল সময় চেষ্টা করি জনগণের সঙ্গে থাকতে, জনগণকে সঙ্গে রাখতে। সে কারণেই আমরা কষ্টের সময়, নির্যাতনের সময় আমরা সংস্কারের কথা বলেছি। অনুভব করেছি যে, এই দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে হলে সংস্কারের প্রয়োজন আছে। ক্ষেত্রবিশেষে বিভিন্নভাবে সংস্কারের প্রয়োজন আছে। আর যারা শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থে রাজনীতি করে থাক দলীয় স্বার্থে হোক বা ব্যক্তি স্বার্থেই হোক রাজনীতি করে থাকে তারাই মুখে একটা বলে বাস্তবে কাজে তারা আরেকটা করে।’

তারেক রহমান বলেন, ‘খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে আমার গ্রামের শেষ কর্মীটি অত্যাচারে নির্যাতিত। নির্যাতিত অবস্থায় তারা সংস্কারের কথা বলছেন। আর আজকে যারা সংস্কারের কথা বলছে বড় বড় জায়গায় বসে, এয়ার কন্ডিশনের ভিতরে বসে, বড় বড় দামি অফিসে বসে তারা সংস্কারের কথা বলছেন। আজকে যারা সংস্কারের কথা বলছেন, এরা সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে অর্থাৎ সরকার তাদেরকে গাড়ি দিচ্ছে, তাদেরকে বেতন বোনাস ভাতা দিচ্ছে। তারপরে তারা বসে সংস্কারের কথা বলছেন। বিএনপি এসব সুবিধার মধ্যে থেকে সংস্কারের কথা বলেনি। বিএনপি যখন সংস্কারের কথা বলছে, তখন বিএনপির রাজপথে স্বৈরাচারের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে। একদিকে আন্দোলন করেছে। আরেক দিকে বিএনপি দেশ গঠনের কথা চিন্তা করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ফ্যামিলি কার্ড, ফার্মার্স কার্ড নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা প্রাথমিক শিক্ষার ব্যাপারে কি করতে পারি, কি করব, তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের পরিবেশের ব্যাপারে একটি পরিকল্পনা আছে। আমাদের পরিকল্পনা আছে কতটুকু সেটি সময় পরিস্থিতি প্রেক্ষাপট বলে দিবে। আমরা পরিবেশ বাংলাদেশের এই পরিবেশের একটি অন্য বিষয়ে, সেটি হচ্ছে বৃক্ষ রোপণ। আমাদের পরিকল্পন আছে পাঁচ বছরে ৫০ কোটি বৃক্ষ রোপণ করার। সে ব্যাপারে আমরা কাজও করছি।’

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles