
হাঁটুর বয়সী যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত তিন সন্তানের মা। তাঁর স্ত্রী! নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারেননি। মেনে নিতে না পেরে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী স্বামী। বাড়ির সামনে খেলার মাঠ। আর সেই মাঠে খেলতে আসা এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক। মাস খানেক আগে স্ত্রী পালিয়ে যায়। আবারও ফিরে আসে। এই নিয়ে অশান্তি চলছিল। সোমবার ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী যুবক। মৃতের নাম তপন ঘোষ (৪২)।
ঘটনাটি ঘটেছে চন্ডীতলা থানার অন্তর্গত নৈটি পঞ্চাননতলা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চন্ডীতলার নৈটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নৈটি পঞ্চাননতলা খেলার মাঠের পাশে বাড়ি তপন ঘোষের। তপন ব্যাঙ্গালোরে গহনা তৈরির কারিগর হিসেবে কাজ করতেন। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী রিঙ্কু ঘোষ। দুই ছেলে এক মেয়ে। তিন সন্তানই নাবালক। বাড়ির সামনে খেলার মাঠে অনেকেই খেলতে আসে। তাদের মধ্যেই একজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় তপনের স্ত্রীর। তপনের বাবা গোপীনাথ ঘোষ জানিয়েছেন, ছেলেকে আলাদা জায়গায় বাড়ি করে দিয়েছিলেন। বিয়ে করার পর সেখানেই থাকত। ছেলে বাইরে কাজ করত। সেই সুযোগে বৌমা মাঠে খেলতে আসা ছেলেদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে। অনেকেই বলত বৌমার বাড়িতে নাকি খেলতে এসে অনেকে যেত। একদিন তিনি এসে দেখেন বাড়িতে তালা মেরে বৌমা চলে গেছে। বৌমার স্বভাব ভাল ছিল না। মাসখানেক আগে রাহুল বাগ নামে এক যুবকের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়েও গিয়েছিল বৌমা। কয়েকদিন আগে আবার ফিরে আসে। ব্যাঙ্গালোর থেকে দিন কয়েক আগেই বাড়ি ফেরে তপন। এই বিষয় নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। এলাকার বাসিন্দা প্রতিবেশীরাও এই ঘটনা জানতেন। সোমবার ভোরবেলায় বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে দানপতিপুর ১৪ নম্বর রেলগেটের কাছে হাওড়া বর্ধমান কর্ড শাখায় রেললাইনে আত্মঘাতী হন তপন ঘোষ। তাঁর পকেটে আধার কার্ড ছিল। যা দেখে জিআরপি মৃতদেহ শনাক্ত করে।
তপনের আত্মঘাতী হওয়ার খবরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। স্ত্রীর আচরণের জন্যই স্বামীর এই পরিণতি। স্বামীকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে, অভিযোগ প্রতিবেশীদের। তাঁরা অভিযুক্ত স্ত্রীর শাস্তি দাবি করেছেন। সূত্র : আজকাল