
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাওন হোসেন নামে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক কর্মীকে মারধর করে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশে দিয়েছে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংকের সামনে থেকে তাকে আটক করে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।
আটক শাওন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সিএফসি গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। এছাড়া তিনি পূর্বে ছাত্রদলের এক কর্মীকে মারধরে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ ছাত্রদল নেতাকর্মীদের।
জানা যায়, আটকের পর অগ্রণী ব্যাংকের সামনে থেকে মারধর করে তাকে সেন্ট্রাল ফিল্ডে নিয়ে যান ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। পরে সেখান থেকে জিরো পয়েন্ট পুলিশ বক্সে নেওয়া হয়। পুরো সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাউকে দেখা যায়নি। পুলিশ বক্সে থাকা দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে নিয়ে যান। সেখানে দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে স্থানান্তর করেন।
মারধরের শিকার ছাত্রলীগ কর্মী শাওন বলেন, জুলাইয়ে আমি শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলাম। ৯ তারিখের পরে আমি বাড়িতে চলে যাই। এরপর আন্দোলন নিয়ে কোনো পোস্ট করিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কর্মী শামিম বলেন, ফ্যাসিবাদী আমলে চবিতে ছাত্রদলের তেমন কোনো অবস্থান ছিল না। তবে ছাত্রদলের সঙ্গে আমার গোপন আঁতাত ছিল। এ বিষয়টি শাওন হোসেন জানতো। এরপরে আমাকে মারধর করে ও ক্যাম্পাসে আসাতেও বাধার সৃষ্টি করে। তাকে মারধর করা হয়নি। আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ছাত্রলীগ করতো তা স্বীকার করে।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, প্যানিক ডিস অর্ডারের কারণে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা থেকে আমরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে রেফার
করেছি।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। সে বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।