সিলেটের বিশ্বানাথ উপজেলায় মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (১৭) ধর্ষণেরমামালায় সেলিম মিয়া (৪২) নামের এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ওসমানীনগর উপজেলার সৈয়দ মান্দারুকা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেলিম একই গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে।
এর আগে গত বুধবার রাতে সেলিম মিয়া ও অজ্ঞাতনামা অটোরিকশা চালককে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর পিতা।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী গত রমজান মাসে নিজ গ্রামের জামে মসজিদে দারুল কেরাতে ভর্তি হন। সেখানে শিক্ষক হিসেবে পড়াতেন সেলিম মিয়া। শুরু থেকেই ওই ছাত্রীর উপর কুদৃষ্টি পড়ে সেলিমের। যাওয়া আসার পথে সেলিম প্রায় সময় তাকে কুপ্রস্তাব দিতেন এবং বিয়ের প্রলোভন দেখাতেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার সকাল ৯টার দিকে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী মাদ্রাসার সামনে পৌঁছামাত্র বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক তাকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে সিলেট শহরে সেলিমের এক আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে সেলিম। পরে একই দিন বিকেল ৫টার দিকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে ওই ছাত্রীকে তার বাড়ির সামনে রেখে পালিয়ে যান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন সেলিম। আজ দুপুরে তাকে সিলেটের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সাথে ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’