
দুই কিশোরীকে সমকামিতার অভিযোগে অভিভাবকরা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে তাদের চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়। দুই কিশোরী হচ্ছে-চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের ইউসুফ মিয়ার মেয়ে রিতু (১৫) ও গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার অনিল এর মেয়ে আরোহি (১৬)। অভিযুক্ত ওই দুই কিশোরী বিয়ের কথা বললেও প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
পরিবারের বরাতে পুলিশ জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে উভয়ের টিকটকের মাধ্যমে পরিচয়। এরই মাঝে একে অপরের বাড়িতে আসা-যাওয়া ও মনের ভাববিনিময় হয়। একপর্যায়ে তারা গত ১৭ এপ্রিল পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছে। তবে তারা বিবাহবন্ধনের কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে পারেনি।
অভিযুক্ত এক কিশোরী বলেন, আমি দশম শ্রেণিতে পড়ি। আমি গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় থাকি। ৩ বোন ও ১ ভাইয়ের মধ্যে আমি সবার ছোট। মা আমার আচরণ অস্বাভাবিক জানিয়ে আমাকে ঘরে তালাবন্ধ করে রেখেছিল। পরে তার কথায় আমি সুযোগ বুজে চলতি মাসের ৬ এপ্রিল বাসা ছেড়ে পালিয়ে আসি। এরপর তার সঙ্গে নরসিংদীতে আমার এক বান্ধবীর বাসায় দুজনে থাকি। এরপর ১৭ এপ্রিল ঢাকায় আমাকে বিয়ে করে সে। আমি আমার হাতেও তার নামে ট্যাটু লিখেছি। আমি তার সঙ্গে সংসার করতে না পারলে মারা যাব।
অভিযুক্ত আরেক কিশোরী বলেন, আমার জন্য সে ঘর ছেড়েছে। আমি ওকে বিয়ে করেছি। ওকে আমি কারো কাছে যেতে দিব না। সে শুধু আমার।
তারা আরও বলেন, আমরা আবেগে নয় বরং মন থেকেই একে অপরের প্রতি ভালোলাগা থেকে ভালোবাসা ও অবশেষে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হই।
এই ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ সম্পর্কে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ্ আলম জানান, গোপালগঞ্জের ওই কিশোরী হারিয়েছে মর্মে একটি জিডি হয়েছে। মূলত চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে উভয়ের টিকটকের মাধ্যমে পরিচয়। তারা গত ১৭ এপ্রিল তারিখে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছে। তবে তারা বিবাহের কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। কিশোরীটি হারিয়ে যাওয়া জিডিমূলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে। তাকে তার বাড়িতে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।