
অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়া, ব্যভিচার ও মানহানির অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসাইন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে মামলায় আত্মপক্ষ শুনানির দিন ছিল আজ। যদিও এটি শুনতে বিব্রত প্রকাশ করে অন্য আদালতে বদলির আদেশ দিয়েছেন। এদিন আদালতে থেকে বের হতে গিয়ে বেশ বিব্রতকর অবস্থায়ই পড়তে হয়েছে নাসির-তামিমা দম্পতিকে।
সোমবার বেলা ১১টা ৫১ মিনিটের দিকে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালতে শুনানি শেষে এজলাস কক্ষ থেকে বের হন নাসির-তামিমা। এরপরই তাদের ঘিরে ধরেন গণমাধ্যমকর্মীরা। এ সময় কালো মাস্ক পরে ক্যামেরা থেকে মুখ লুকানোর চেষ্টা করেন নাসির ও তামিমা।
স্ত্রী তামিমার হাত ধরে গণমাধ্যমকর্মীদের উপেক্ষা করেই হাঁটছিলেন নাসির। তবে এরপরও গণমাধ্যমের ক্যামেরা থেকে নিস্তার নেই দেখে স্ত্রীর হাত ধরে জোরে হাঁটতে থাকেন তিনি। পরে সেটিও সম্ভব নয় মনে করে উল্টো দিকে হাঁটা শুরু করেন তারা। পরে দুজন আলাদা দিক দিয়ে আদালত ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন তারা।
এদিকে, মামলাটি অন্য আদালতে বদলির বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, এ মামলার আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে বিচারক বিব্রতবোধ করে মামলাটি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) কাছে পাঠিয়েছেন। তিনি এই মামলা পরিচালনা করতে চান না। এখন মামলার বিষয়ে সিএমএম সিদ্ধান্ত নেবেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মির স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা করেন। এরপর গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক (নি.) শেখ মো. মিজানুর রহমান তিনজনকে দোষী উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।
২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। তবে এ মামলার অপর আসামি তামিমার মা সুমি আক্তারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
একই বছরের ৬ মার্চ মহানগর দায়রা আদালতে অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করেন নাসির ও তামিমা।অন্যদিকে তামিমার মা সুমি আক্তারকে অব্যাহতির আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করেন বাদীপক্ষ। শুনানি শেষে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মেদ রিভিশন খারিজ করে দেন। একই সঙ্গে নাসিরের শাশুড়ি সুমি আক্তার মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আদেশ বহাল রাখেন।
গত ১৬ এপ্রিল এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। বিচার চলাকালীন ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।