
যেসব ভ্রমণকারী সরকারের অ্যারাইভক্যান অ্যাপে প্রবেশ করতে পারেননি বা পূরণ করতে ভুলে গেছেন তারা সীমান্তে কিছুটা সহানুভুতি পেতে পারেন। ভ্রমণকারীদের কাছ থেকে সরাসরি ভ্রমণ সংক্রান্ত তথ্য গ্রহণে কানাডার জননিরাপত্তা মন্ত্রী সীমান্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়ার পর এ সুযোগ তৈরি হয়েছে।
কানাডায় প্রবেশের ক্ষেত্রে অ্যাপে তথ্য দেওয়াটা বাধ্যতামূলক। ভ্রমণকারী কতদিন ধরে কানাডার বাইরে রয়েছেন সেটা এক্ষেত্রে বিবেচ্য নয়। ভ্রমণকারী কোথায় ছিলেন, ভ্রমণের উদ্দেশ্য, কনট্যাক্ট সম্পর্কিত তথ্য, ভ্যাকসিনেশন সংক্রান্ত তথ্য, ভ্রমণের আগে কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফলাফল এবং কানাডায় প্রবেশের পর তাদের কোয়ারেন্টিন পরিকল্পনা সম্পর্কে জানাতে হয় অ্যাপে। বিদেশি নাগরিকরা এসব তথ্য প্রদানে ব্যর্থ হলে এখনও তাদেরকে উড়োজাহাজে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে কানাডিয়ান ও স্থায়ী বসবাসকারী কেউ অ্যাপে তথ্য দিতে ব্যর্থ হলে তাকে দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে।
এই নীতি, অ্যাপে প্রবেশ করতে না পারা ও অনির্ভরযোগ্য নিয়ে সংসদ সদস্যরা অসংখ্য অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান কনজার্ভেটিভ পার্টির জননিরাপত্তা ক্রিটিক র্যাকুয়েল ড্যানচো। সোমবার হাউজ অব কমন্সে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান তিনি। ড্যানচো বলেন, কিছু ব্যবহারকারী অ্যারাইভক্যান অ্যাপে ঢুকতেই পারেননি। সেলফোনে সেবার দুর্বলতার কারণেও অনেকে ঢুকতে পারেননি। আবার অনেক জ্যেষ্ঠ নাগরিকের স্মার্টফোনই নেই। ডাটার অতিরিক্ত মূল্যের কারণেও কেউ কেউ এর বাইরে রয়েছেন।
জবাবে জননিরাপত্তা মন্ত্রী মার্কো মেন্ডিসিনো হাউজ অব কমন্সকে বলেন, কানাডিয়ানদের সীমান্তে সুরক্ষা দিতে সরকারের মধ্যে কোনো দ্বিধা নেই। বিশেষ করে ওমিক্রন নিয়ে এই উদ্বেগের মধ্যে। অ্যারাইভক্যান অ্যাপ সম্পর্কে সহকর্মীদের আমি এই আশ^াস দিতে চাই যে, কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির সঙ্গে এ নিয়ে আমি কথা বলেছি, যাতে করে অ্যারাইভক্যান অ্যাপের জন্য প্রযোজ্য তথ্য ভ্রমণকারীরা সশরীরে দিতে পারেন।
ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার সীমান্তে নতুন করে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সেগুলোর মধ্যে আছে আফ্রিকার দেশগুলোতে যারো সর্বশেষ ১০ দিন অবস্থান করেছেন তাদেরকে প্রবেশ করতে না দেওয়া এবং কানাডায় আসা সব ভ্রমণকারীর জন্য কোভিড-১৯ পরীক্ষা ও কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা।