
একজন মন্ত্রীর মোবাইল ফোন ছিনতাই হয়েছে। হতেই পারে। ছিনতাইকারী যখন রাস্তায় থাকে, সে কখন কার ব্যাগ ধরে টান দিবে নিশ্চিত করে বলা মুশকিল।
তবে আমার প্রশ্ন চোর আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বুঝিলো কেমনে?
চোর বিজয় সরণির ঠিক যেখান থেকে মোবাইলটি ছিনতাই করেছে, সেই স্থানটি কাফরুল থানার আওতাধীন। ছিনতাই করার পর চোর লাফ দিয়ে রাস্তার উল্টা পাশে চলে যায়। সেটি আবার তেজগাঁও থানার আওতাধীন। ফলে কাফরুল ও তেজগাঁও থানা যৌথভাবে মোবাইল ফোন উদ্ধারে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত ফোন উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে দৈনিক প্রথম আলো।
তবে মাননীয় মন্ত্রীর বেলায় কি ঘটবে জানি না। সাধারণ মানুষের বেলায় নিশ্চিত করে দায়িত্ব এড়ানো যেত!
তেজগাঁও থানা বলতো ঘটনা কাফরুল থানার। কাফরুল থানা বলতো তাদের ওখানে সেরকম কোন ঘটনাই ঘটে নি, দায়িত্ব তেজগাঁও থানার!
প্রতিটি থানায় মাসিক চুরি ডাকাতি ছিনতাইয়ের তথ্য সম্বলিত একটা বোর্ড ঝুলানো থাকে বলে জানতাম। অথবা খাতায় রেকর্ড থাকে যা জেলা আইন শৃংখলা সংক্রান্ত মাসিক সভায় দেখানো হয় কোন থানায় কয়টা চুরি ডাকাতি হয়েছে সে মাসে। সবাই চেষ্টা করে এটা দেখানো যে, পরের মাসে আগের মাসের চেয়ে কম চুরি ডাকাতি হয়েছে অর্থাৎ আগের মাসের চেয়ে পরের মাসে আইন শৃংখলার উন্নতি হয়েছে।
প্রশ্ন হলো এই ছিনতাই ঘটনাটি কি তেজগাঁও থানায় রেকর্ড হবে নাকি কাফরুল থানায়? কাদের ঘাড়ে একটা নুতন ছিনতাই সংখ্যা যোগ হবে?
চোর চুরি করলো বটে তবে ভাল একটা প্যাচও লাগাইয়া দিয়া গেল!