
পশ্চিমবঙ্গের বালির নিশ্চিন্দায় প্রেমিকদের হাত ধরে ২ গৃহবধূর ঘর ছাড়ার ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, ২ বধূর সঙ্গে যে রাজমিস্ত্রিদের ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছে তা আঁচ করতে পেরেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। এমনকি রাজমিস্ত্রি সুভাষের কিনে দেওয়া ফোনেই তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন গৃহবধূ অনন্যা কর্মকার। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিশ্চিন্দার আনন্দনগরে কর্মকার পরিবারের বাড়িটি নির্মিয়মান। দোতলা বাড়িটির প্রাথমিক নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ৬ মাস আগে। তার আগে দীর্ঘদিন ওই বাড়ির নির্মাণে যুক্ত ছিলেন ২ রাজমিস্ত্রি সুভাষ ও শেখর। মুর্শিদাবাদের সুতির বাসিন্দা সুভাষের সঙ্গে প্রথমে বড় বউ অনন্যা কর্মকারের প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে অনন্যার কাছে ব্যক্তিগত কোনো মোবাইল ফোন ছিল না। তাই বাড়ি ছাড়ার আগে তাকে একটি মোবাইল ফোন কিনে দিয়ে যান ওই যুবক। সেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন ওই রাজমিস্ত্রি। এরপর ধীরে ধীরে আরেক রাজমিস্ত্রি শেখরের সঙ্গে ছোট বউ রিয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে একাধিকবার এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় ২ বধূকে, যা নিয়ে স্থানীয়দের মনে খটকা লেগেছিল। ২ বধূ নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর দুয়ে দুয়ে চার করছেন তারা।
গত ১৫ ডিসেম্বর শীতের পোশাক কিনতে শ্রীরামপুর যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন অনন্যা ও রিয়া। সঙ্গে ছিল রিয়ার ৭ বছরের ছেলে আয়ুষ। তারপর থেকে তাদের খোঁজ পাননি পরিবারের সদস্যরা। অনন্যার কাছে ছিল একমাত্র মোবাইল ফোনটি। বিকালে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। রাতে নিশ্চিন্দা থানায় কর্মকার পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অনন্যার মোবাইল ফোনের কললিস্ট পরীক্ষা করে সুভাষের নম্বর পাওয়া যায়। এরপর সুতিতে সুভাষের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। কিন্তু পরিবারের তরফে জানানো হয়, ১৬ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তারা।