
রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কার্যালয়ের পাশেই গড়ে উঠেছিল নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মূলহোতা আশিকের অপরাধের আস্তানা।
নিরাপদ আস্তানা হিসেবে ব্যবহার হতো বন্ধ হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ঝুপড়ি ঘর। গড়ে তুলেছিল সংঘবদ্ধ গ্রুপও। এতদিন আশিকের ভয়ে কেউ কিছু না বললেও এখন তার সম্পর্কে মুখ খুলতে শুরু করেছেন অনেকেই।
এদিকে, কাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে আশিক ও তার সহযোগীরা এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড করছে এসব বিষয়ও খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পোস্ট অফিসে লাগোয়া সড়কের একটি জায়গায় স্বামীর সঙ্গে ধাক্কা লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভুক্তভোগী নারীকে নিয়ে আসে আশিক। কটেজ সড়কের চায়ের দোকানে বসিয়ে রাখা হয়েছিল ওই নারীকে। এই সড়কের দু’পাশে রয়েছে বেশকিছু ঝুপড়ি ঘর, এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কার্যালয়। এখানেই অপরাধের নিরাপদ আস্তানা গড়ে তোলে আশিক।
করোনার কারণে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। আর এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল মাদক সেবনসহ অপরাধের আস্তানা। যা সরেজমিনে গিয়ে সময় সংবাদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
দেখা যায়, মাদক সেবনের উপকরণ ও মাদকদ্রব্য। যা স্বীকারও করেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নাইট গার্ড আবির। তিনি বলেন, আমাদের বাউন্ডারির ভেতরে ঢুকে কিছু মানুষ মাদক সেবন করে।
স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বারবার উঠে আসছে আশিকুল ইসলামের নাম। আশিকের ছবি শনাক্ত হওয়ার পর থেকে তার সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য উঠে আসছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা আছে। যেকোনো ধরনের অপরাধী বা সন্ত্রাসী সে যেই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, তার সহযোগী কারা কারা, কাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে থাকে এবং কি কি কার্যক্রম তারা এলাকায় করে এগুলো আমরা যাচাই করে দেখছি।
কক্সবাজারে নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে সদর মডেল থানায় ৭ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী। এর মধ্যে আশিকসহ চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে আর বাকি তিনজন অজ্ঞাত। এখনো তাদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।