
ছোটবেলায় বা তরুণ যুবক বয়সে যারা দখলদার থাকে, অন্যায়কারী থাকে, বড় হয়ে তারা আরো বড় দখলদার হয়, বড় অন্যায়কারী হন বা অন্যায়কারীদের গড ফাদার হন বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সেটাই সত্য।
নিজে অন্যায়কারী হয়ে, অন্যের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা যায় না। নিজে অবৈধ দখলদার হয়ে অন্যের অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে গলা ফাটানোর পরিনতি কি তা আজ সবাই দেখতে পারছে। সমস্যা হলো আপনি আপনার অন্যায়কে অন্যায়ই মনে করেন না। আপনি যদি অতীতে অবৈধভাবে বহিরাগত হয়ে হলের একটি সীট দখল করে বৈধ কোন ছাত্রের অধিকার থেকে বন্চিত করে থাকেন কিংবা গা’য়ের জোরে, গোষ্ঠীর জোরে আপনার প্রতিবেশীর বা অন্যের জমি দখল করে থাকেন সেটা যেমন অন্যায় তেমনি অন্যায় জনগণকে তার অধিকার থেকে বন্চিত করা। সে অধিকার সামরিক বা বেসামরিক যে পোষাকেই পদদলিত করা হোক না কেন! কিন্তু সমস্যা হলো আপনি আপনার অন্যায়কে কোনভাবেই অন্যায় বলে স্বীকার করবেন না।
অনেক মৌলিক প্রশ্ন আছে যেগুলো করলে অনেকেরই মুখোশ খুলে যাবে, অনেকের কাছেই ভাল লাগবে না!
এই যে আমরা বলি দেশের মেইন কলাপসিবল গেইট বন্ধ থাকলে বাকী গুলো নিয়ে কথা বলে লাভ নেই! সঠিক কথা, কিন্তু যদি প্রশ্ন করি স্বাধীনতার পর কবে কোন কালে এবং কার আমলে মেইন কলাপসিবল গেইট খোলা ছিল?
আমি যদি শুধু আপনাদের ছাত্র জীবনের প্রতিটি কর্মসুচীর ছবি, পোষ্টার তুলে ধরি, মিটিং মিছিলের বক্তব্য তুলে ধরি তাহলে নিজের কাছেই ধরা পরবে আসলে দেশের মেইন কলাপসিবল গেইট কখনোই খোলা ছিল না। কেননা, সেদিন থেকে আজ অবধি প্রতিটি সরকারের বিরুদ্ধেই আপনাদের একই ধরনের অভিযোগ ছিল। চটকদারী বিপ্লবী কথা বার্তায় হয়তো কিছু লোক সাময়িকভাবে আকৃষ্ট হবে কিন্তু আখেরে জনগণের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হবে না, হয় না। যার জ্বলন্ত প্রমাণ বর্তমান।
সত্তর বা আশির দশকে যে বকবকানি করেছিলেন তা বুমেরাং হয়ে ফিরে এসেছে অনেকের কাছে। আর অনেকে নিজের জিহ্বায় নিজে কামড় দিয়ে আপোষের চুড়ান্ত নির্লজ্জতায় ডুবে গিয়েছেন।
স্কারবোরো, কানাডা