
নার্স শব্দটা শুনলেই মনে হবে মহিলাদের একটা পেশা। আসলে নার্স পেশায় পুরুষও তো আছে। অথবা ইন্জিনিয়ার শব্দটা শুনলেই মনে হবে পুরুষ কিন্তু মহিলা ইন্জিনিয়ারের অভাব নেই আজকাল। এগুলো হলো স্টেরিও টাইপ চিন্তাভাবনা।
এক সময় বাংলাদেশ নাম শুনলেই বিদেশী কারো কারো কাছে মনে হতো বন্যা, খড়া আর অভাব অনটনের দেশ। মৌলবাদী শব্দটা শুনলেই এক শ্রেণীর মানুষের মনে কাদের চেহারা ভেসে উঠে তা আর অজানা নয়। তেমনি কথিত প্রগতিশীল শব্দটাও একশ্রেণীর মানুষের স্টেরিও টাইপ চিন্তা ভাবনার মধ্যে ঘুরপাক খায়।
অথচ দেশ ও ক্ষেত্রভেদে চিত্রগুলো পুরো উল্টোটাও দেখা যায়।
আমাদের দেশে স্টেরিওটাইপ চিন্তার লোকের অভাব নেই।
কিন্তু ধারনা করা এবং স্টেরিওটাইপ ভাবনা জন্ম দেয় অসচেতন পক্ষপাতিত্ব বা আনকনসাস বায়াস।কেননা ধারনা করে কথা বলা লোকজনের কাছে থাকে সীমিত তথ্য।
এখন কথা হলো এর থেকে বের হয়ে আসার উপায় কি?
ইনটেনশোনালী ইনক্লুসিভ বা ইচ্ছাকৃতভাবে অন্তর্ভুক্তির নিয়ম ব্যবহারের মাধ্যমে এই স্টেরিওটাইপ অবস্হা বা ধারণা করে কথা বলা থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব।
যেমনঃ
১। অন্যের সম্পর্কে মন্তব্য করার আগে তার ব্যাপারে কৌতুহুলী হওয়া এবং তার গল্প, অভিজ্ঞতা ও আগ্রহ ইচ্ছা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা
২। জিজ্ঞেস করা এবং মনযোগ দিয়ে শোনা। হয়তো আপনি অবাক হয়ে যাবেন আপনার আশেপাশের লোকের সম্পর্কে জানতে পেরে
৩। কারো সম্পর্কে না জেনে জোকস করা বা ফান করা মানে তার বন্ধুত্ব হারানো
৪। ইচ্ছেকৃতভাবে জানার চেষ্টা করা সেইসব লোক সম্পর্কে যারা ঠিক আপনার মত নয়
৫। আপনার আশেপাশের সবার কথা মনযোগ দিয়ে শোনাকে নিশ্চিত করতে হলে কোন সভায় বা কারো কথা বলার সময় বাঁধা না দেয়া বা ঢুকে যাওয়া বন্ধ করা
আমরা যদি ইনটেনশনাল ইনক্লুশন বা ইচ্ছাকৃত অন্তর্ভুক্তিকে প্রমোট করতে পারি তাহলে আমরা একটা নুতন উদ্ভাবনী দুনিয়া তৈরী করতে সক্ষম হবো যা আমাদের প্রত্যেকের অনন্য প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সক্ষম হবে।
স্কারবোরো, কানাডা