
নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ তৈরির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পেরে আবেগ আপ্লুত কানাডিয়ানরা। টেলিস্কোপের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর রেনে ডয়োন বলেন, সরাসরি টেলিস্কোপটির উদ্বোধন দেখতে পারাটা বড়দিনের সেরা উপহার। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধিনিষেধের কারণে টেলিস্কোপটি তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ কানাডিয়ান বিজ্ঞানি এ সময় বাড়িতেই ছিলেন।
এক বিবৃতিতে ডয়োন বলেন, ২০ বছর প্রকল্পের সঙ্গে কাজ করার পর এটা দারুণ একটা মুহুর্ত। সত্যিই অবিশ^াস্য এক অনুভুতি। বড়দিনে এটা সম্ভব হবে কখনোই আমি আশা করিনি। কানাডার জন্য এটা দারুণ মুহুর্ত।
দীর্ঘ প্রতিক্ষীত উৎক্ষেপনের সময় ওয়েবের আউটরিচ সায়েন্টিস্ট নাথালি আউলেটে মন্ট্রিয়লে তার পরিবারের সঙ্গেই ছিলেন। তিনি বলেন, টেলিস্কোপের পৃথিবী ছেড়ে যাওয়া দেখাটা দারুণ। বড়দিনের খুশি এটি। আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলাম আমি। মুহুর্তটি স্মরণীয় করে রাখতে আমরা ভিডিও ধারণ করে রেখেছি। উৎক্ষেপণটি হয়েছে একেবারে নিখুত।
বিগ ব্যাংয়ের পর সৃষ্ট প্রথম নক্ষত্রমন্ডলির নজীরবিহীন খুটিনাটি অনুসন্ধান করবে টেলিস্কোপটি। কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সির প্রেসিডেন্ট লিসা ক্যাম্পবেলের কাছে এ উৎক্ষেপণ ৩০ বছর ধরে বোনা স্বপ্নের সফল পরিণতি। তিনি বলেন, কি অসাধারণ একটা দিন! এখন পর্যন্ত জটিল যেসব স্পেস অবজারভেটরি নির্মিত হয়েছে এটি তার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী।
একদম শুরু থেকেই জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ নিয়ে কাজ করছে কানাডা। এর ফলে যেসব আবিস্কার সামনে আসবে সেগুলো কাজ করা প্রথম দেশ হবে কানাডা। ক্যাম্পবেল বলেন, বিশ^মন্ডল এবং সেখানে আমাদের অবস্থান বৃঝতে জোতিষশাস্ত্রে এটা নতুন পদক্ষেপ। জোতিষশাস্ত্রে কানাডার পারদর্শীতার ফলেই বৈজ্ঞানিক এ আবিস্কার সম্ভব হয়েছে।
কানাডিয়ান অ্যাস্ট্রোনমিকাল সোসাইটির যে ৬০০ বিজ্ঞানী আছেন তার অর্ধেক টেলিস্কোপের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং এর নকশা প্রণয়নকারী দলের অংশ কয়েক ডজন বিজ্ঞানী।