
ক্রেডিট কার্ডের ফি কমানোর ব্যাপারে লিবারেল পার্টির প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসছে না অর্থ বিভাগ ও ফেডারেল সরকার। প্রস্তাবিত পরিবর্তন নিয়ে পরামর্শ চালানোর প্রতিশ্রুতির কথা গত বসন্তের বাজেটে জানিয়েছিল লিবারেলরা।
পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে সে সম্পর্কিত একটা রূপরেখা ঘোষণা করার কথা ছিল অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের। ফি নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন পরিবর্তনের বিষয়টিও এর মধ্যে ছিল। তবে অর্থমন্ত্রীর বাজেট হালনাগাদে মার্চেন্ট ফির বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই।
ফ্রিল্যান্ডের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোনো ধরনের পরিবর্তন আনার প্রভাব যাদের ওপর পড়বে তাদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে হালনাগাদ কোনো তথ্য থাকলে সময়মতো তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
এরই মধ্যে চাপে থাকা ছোট ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে খরচের চাপ কিছুটা শিথিল করতে ফেডারেল সরকারের পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে আছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো। ফি কমানোর পরিকল্পনাটি যেনো সরকারের পরিকল্পনা থেকে বাদ না পড়ে সে প্রত্যাশাও করছে তারা।
২০১৯ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময়ই ক্রেডিট কার্ডের ফি কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল লিবারেল পার্টি। কিন্তু মহামারি অন্য সব অগ্রাধিকার ইস্যুর মতো এটিকেও পাশে ঠেলে দেয়। লিবারেলরা বাজেটে বিষয়টি নিয়ে অগ্রসর হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর গ্রীষ্মে একটি পরামর্শ পরিকল্পনা অনুমোদন করেন, যা তার ব্রিফিং নোটে উল্লেখ করা হয়েছে।
তথ্য অধিকার আইনের আওতায় ব্রিফিং নোটের একটি কপি পেয়েছে দ্য কানাডিয়ান প্রেস। এর আগে ২০১৫ সালে একবার এবং সর্বশেষ গত মে মাসে সরকার কিভাবে ভিসা ও মাস্টারকার্ডকে কিভাবে স্বেচ্ছায় আন্তঃলেনদেন মাসুল কমাতে বাধ্য করেছিল সে বিষয়ে উল্লেখ আছে নোটে।
সাধারণত আন্তঃলেনদেনের মাশুল হয়ে থাকে ক্রয় মূল্যের এক থেকে তিন শতাংশেল নিচে। তবে প্রকৃত মাসুল নির্ধারিত হয় বেশ কিছু বিষয়ের ভিত্তিতে। মার্চেন্টের শিল্প, ক্রয়টি সরাসারি স্টোরে নাকি অনলাইনে হয়েছে ও কার্ডের ধরনের ওপর এটি নির্ভর করে। প্রিমিয়াম কার্ড সাধারণ বেশি মাসুল আদায় করে থাকে।
ফ্রিল্যান্ডের ব্রিফিং নোটে কর্মকর্তাদের জুন মাসে দেওয়া এক উপস্থাপনার তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ক্রেডিট কার্ড খুবই লাভজনক এবং আন্তঃলেনদেন হার আরও কমানো হলে তা ইস্যুয়ারের রাজস্বে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।