
সরকারের লক্ষ্য পূরণে সরকারের গৃহীত কোভিড-১৯ সংক্রান্ত কিছু পদক্ষেপ সংক্রমণের ঢেউ কমে এলেও বলবৎ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন ফেডারেল অভিবাসন মন্ত্রী শন ফ্রেজার। মহামারির পুরো সময়জুড়ে বিদেশ থেকে লোক আনা কঠিন থেকে কঠিনতর হতে থাকায় লক্ষ্য পূরণে আগে থেকেই দেশে থাকা ব্যক্তির দ্বারস্থ হয় সরকার।
স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কানাডায় আসা কিছু স্থায়ী বাসিন্দা অভিবাসী ও শরনার্থী হওয়ায় ফেডারেল সরকার কানাডাকে তাদের স্থায়ী বাড়ি বানানোর সুযোগ দিতে সাময়িক বাসিন্দার মর্যাদা দেওয়ার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। দ্য কানাডিয়ান প্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিবাসন মন্ত্রী শন ফ্রেজার বলেন, মহামারি সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধানের অংশ হিসেবে বিশেষভাবে এসব পদক্ষেপের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে ররে সুফল পাওয়া যাবে মহামারি অতিক্রান্ত হওয়ার পর।
উদাহরণ হিসেবে গার্ডিয়ান অ্যাঞ্জেল কর্মসূচির কথা এক্ষেত্রে উল্লেখ করেন ফ্রেজার। এই কর্মসূচির আওতায় স্বাস্থ্য খাতে কর্মরত আশ্রয়প্রার্থীদের স্থায়ী বাসিন্দার অনুমোদন দেওয়া হয়।
এটা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নির্দেশ পেয়েছেন ফ্রেজার। তিনি বলেন, আমরা মনে হয় এই মহামারির মধ্যে আমরা কিছু বিষয় শিখতে পেরেছি, যা আমরা কাজে লাগাতে পারবো।
গত মাসে রেকর্ড ৪৭ হাজার ৪৩৪ জনকে স্থায়ী বাসিন্দার মর্যাদা দিয়েছে সরকার। এর ফলে ২০২১ সালে ৪ লাখ ১ হাজার অভিবাসীর উচ্চাভিলাষী যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা পূরণ থেকে মাত্র ৩৯ হাজার ৬২৯ জন পিছিয়ে আছে সরকার। তবে ২০২২ সালে এ লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। আগামী বছর ৪ লাখ ১১ হাজার নতুন অভিবাসীকে স্বাগত জানানো সম্ভব হবে বলে আশা করছে ফেডারেল সরকার।
দেশের চলমান শ্রমিক সংকট থেকে উত্তরণে নতুন অভিবাসী আকৃষ্ট করাকে প্রধান স্তম্ভ হিসেবে দেখা হচ্ছে। অভিবাসন মন্ত্রী ফ্রেজার এ প্রসঙ্গে বলছেন, সাময়িক বাসিন্দার পক্ষে অর্থনৈতিক যুক্তিটা যথেষ্ট শক্তিশালী। সাময়িক ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নিয়োগদাতাদের প্রশিক্ষণ ও শূন্যস্থান পূরণে নতুন প্রার্থী খোঁজার প্রয়োজন হয়। যারা কানাডায় নতুন আসেন তারা দেশের অর্থনীতিতে বাড়তি জ¦ালানি যোগ করতে পারেন। স্থঅয়ী বাসিন্দার মর্যাদা পাওয়া অভিবাসীরা অবশ্যই সমস্যা খারাপ হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারবেন।