
দীর্ঘদিনের সম্পর্কে ছেদ পড়ার কথা ভাবলেই বুকের ভেতরটা চিন চিন করে ওঠে। আজকাল প্রেম বা বিয়ে বিচ্ছেদে প্রায়ই ঘটছে। কিন্তু জানেন কি সম্পর্কের ভাঙন মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপরও? গবেষণা বলছে, বিচ্ছেদ কমিয়ে দেয় পুরুষের আয়ু।
অচেনা অজানা নর-নারীর মধ্যে হয় বিয়ে নামক আত্মিক সম্পর্ক। শুরু করেন জীবনের নতুন অধ্যায়। দুজনে হয়ে উঠে একে অপরের পরিপূরক। দিনদিন একই সত্ত্বা ও অনুভূতির অনবদ্য বন্ধনে বাঁধা পড়ে তার। কিন্তু তাদের সেই সংসার বিচ্ছেদে কখনও হয়ে যায় বিষাক্ত।
সারাবিশ্বে হরহামেশাই হচ্ছে বিচ্ছেদ। কয়েকটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ দম্পতির মধ্যে বিয়ের আগে যতটা প্রেম ছিল বিয়ের পর তার সিংহভাগ থাকে না। কাজের চাপে যৌনজীবনের প্রতি অনীহা। এছাড়া ধৈর্য্য-সহ্যের অভাব, পান থেকে চুন খসলেই সোজা বিচ্ছেদ।
বর্তমান সময়ে মানুষের মধ্যে অস্থিরতাটা একটু বেশি কাজ করে। যার প্রভাব পড়ছে আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক জীবনেও। নানা কারণে অনেক সম্পর্কই শেষ পর্যন্ত চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হয় না। প্রতিদিন বিচ্ছেদের অনেক ঘটনা ঘটছে যা আমাদের অজানা। কিন্তু এসব বিচ্ছেদে পুরুষদের স্বাস্থ্যের ওপরে মারাত্মক খারাপ প্রভাব ফেলে। এমনটাই বলছে গবেষণা।
সম্প্রতি এক লাখ ২৭ হাজার ৫৪৫ জনের ওপর করা হার্ভার্ডের একটি গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণা থেকে জানা গেছে, বিবাহিত পুরুষদের স্বাস্থ্য অবিবাহিত, বিপত্নীক বা বিবাহবিচ্ছিন্ন পুরুষদের থেকে বেশি ভালো। এমনকি গবেষণায় এও দাবি করা হয়েছে, জীবন সঙ্গী রয়েছেন এমন পুরুষ জীবনসঙ্গীহীন পুরুষদের থেকে বেশি দিন বাঁচেন।
গবেষকদের দাবি, যে সব পুরুষ কোনো সঙ্গী ছাড়াই জীবন অতিবাহিত করেন তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা প্রায় ৮২ শতাংশ বেশি। অবিবাহিত, বিবাহবিচ্ছিন্ন ও বিপত্নীক পুরুষদের মধ্যে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার অভাব, ধূমপান ও মদ্যপানের মতো সমস্যা বেশি দেখা যায় বলেও মত গবেষকদের।
সূত্র: আনন্দবাজার