
ফাইল ছবি
আগষ্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ চলছে তখন। গাছ থেকে তুলবো তুলবো ভাবছি, আরোও বেশ কয়েকটা একই সাইজের লাউ আসছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা খাওয়া হয়েছে। ফ্রেশ লাউ খাওয়ার শখ যেন মিটছেই না, সম্পূর্ণ দেশী প্রজাতি।
প্রচলিত নিয়ম ভঙ্গ করে মাঝ পথের এই লাউটা বীজের জন্য রেখে দিতে মন চাইলো।
তারপর শুধু চোখে চোখে রাখা। সুবহানাল্লাহ! ওজন আঁচ করতে পারছিলাম।
অক্টোবরের ৩০ তারিখে গাছ থেকে কেটে এনে ঘরে রাখা।
প্রায় সাড়ে দশ কেজি অর্থাৎ প্রায় ২৩ পাউন্ড ওজন হয়েছে উনার, উচ্চতা প্রায় ১৫ ইঞ্চি, সুবহানাল্লাহ!
রাজকীয় সাইজের উনাকে নিজেদের শোবার ঘরেরই এক পাশে জায়গা করে দিলাম।
এখন আবার চোখে চোখে রাখা, সময়ের হিসাবের যেন ভুল না হয়; নতুবা পন্ডশ্রম হতে পারে।
ডিসেম্বরের ১৫, ২০২১ : চেহারায় রং ধরার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তি রঙ দেখা দিয়েছে – বীজ তৈরী সেই ইঙ্গিত যেন দিচ্ছে।
বীজ বের করার আগে আর একবার ওজন নিলাম।
৮ কেজি ২০০ গ্রাম অর্থাৎ প্রায় ১৮ পাউন্ড ওজন হয়েছে শুকানোর পর! সুবহানাল্লাহ!
একটা সাইড থেকে কেটে হাত ঢোকানোর জায়গা করলাম। গ্রামাঞ্চলের পুকুরের কাদা পানি থেকে মাছ ধরার মত করে লাউয়ের ভিতর হাত ঢুকিয়ে মুঠি মুঠি করে বীজ বের করতে থাকলাম …..
বীজের চেহারা, আকার আকৃতি আর পরিমাণ দেখে মন থেকেই চলে আসলো আলহামদুলিল্লাহ।
একটা লাউ থেকে ৯৮০ বীজ, আলহামদুলিল্লাহ্!
ব্রাম্পটন, অন্টারিও, কানাডা