
সাম্প্রতিক ঢেউয়ে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চলের দিকে নজর দিতে হচ্ছে কানাডাকে। সম্প্রতি কানাডার দক্ষিণাঞ্চলে রেকর্ড সংক্রমণ হয়েছে। যদিও আগের ঢেউয়ের চেয়ে এবার গুরুতর অসুস্থ্য রোগীর সংখ্যা কম বলে অনেক হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। তবে হাসপাতালকর্মীদের অনুপস্থিতির হার সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। কারণ, স্বাস্থ্যকর্মীরা বেশি হারে আক্রান্ত হচ্ছেন। যেসব প্রত্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির সেুযোগ কম সেসব এলাকায় এ সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে।
৪৩ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার পর উত্তর অন্টারিওর বিয়ার্স্কিন লেক ফার্স্ট নেশন ৩০ ডিসেম্বর জরুরি অবস্থঅ ঘোষণা করেছে। রোববারের মধ্যেই সেখানে আক্রান্তের ১৬৯ জনে পৌঁছে গেছে, যা মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশের বেশি। এটাকে সংকট বলে মত দেন নিশনাউবি আস্কি নেশনের গ্র্যান্ড চিফ ডেরেক ফক্স।
বিয়ার্স্কিন লেকে কোনো হাসপাতাল নেই। একটি নার্সিং স্টেশন থেকেই স্বাস্থ্যসেবো দেওয়া হয়ে, যেখানে নার্স আছেন দুজন। সিউক্স লুকআইট বা থান্ডার বেতে যেতে বা সেখান থেকে ফিরতে উড়োজাহাজে সময় লাগে তিন ঘণ্টা। সেটাও নির্ভর করে আবহাওয়া ভালো থাকার ওপর।
তিনজন প্রাইমারি কেয়ার নার্স, একজন প্যারামেডিক ও দুইজন পরিবেশগত স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত একটি কেন্দ্রীয় দল ৩০ ডিসেম্বর বিয়ার্স্কিন লেকে প্রবেশ করে। পরীক্ষার সক্ষমতা বাড়াতেই তাদের এই আগম। সিউক্স লুকআউট ফার্স্ট নেশন্স হেলথ অথরিটি দুজন নার্সও সেখানের পাঠিয়েছে।
ফক্স বলেন, হাসপাতাল নেই, কোনো আক্রান্ত ব্যক্তি কতটা অসুস্থ্য তা নির্ণয়ের সক্ষমতাও নেই এমন কমিউনিটির জন্য এটা যথেষ্ট নয়। এটা যে একটা সংকট ফেডারেল ও প্রাদেশিক সরকারের তা স্বীকার করা উচিত। কিন্তু তারা এটাকে সংকট মনে করছে না। কি ঘটে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে তারা।
তিনি বলেন, নিশনাউবি আস্কি নেশনের ৪৯টি কমিউনিটির মধ্যে এক ডজনের মতো কমিউনিটিতে এই মুহূর্তে কোভিড-১৯ রোগী রয়েছেন। এর মধ্যে বিয়ার্স্কিন লেকে কোভিড রোগী রয়েছেন ১৬৯ জন। বাকি ১১টি কমিউনিটিতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ জনের বেশি।
বিষয়টি নিয়ে ফক্সের সঙ্গে রোববার কথা বলেন আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী প্যাটি হাইডু। সেই সঙ্গে অটোয়ার তরফ থেকে সাহায্যেরও প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, তাদের সহায়তার নিশ্চয়তা আমি আবারও দিচ্ছি। কি ধরনের সাহায্য প্রয়োজন তারা জানালে তা পৌঁছে দিতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।