
আমরা ছাত্র জীবনে কতই না শ্রেনীহীন সমাজের স্বপ্ন দেখেছিলাম। এটি আদৌ সম্ভব কিনা তখন ভেবে দেখি নাই। শ্রেণীহীন মানে সবাই সমান এমন ভাবতেই ভালো লাগতো।
আসলে মানুষের মনের মধ্যেই “শ্রেণীর” বসবাস। মানুষ নিজেকে উচ্চতর ভাবতেই ভালোবাসে। কেউ নিজেকে নিন্ম শ্রেণীতে ভাবতে ভালোবাসে না।
এই যে ফাইজার,মডার্না, এস্ট্রোজেনিকা, জনসন এন্ড জনসন এই সব ভ্যাক্সিন গুলিকে কেউ সমান ভাবে না। এদের মধ্যেও শ্রেণী খোজে।
শ্রেণীটা এমন, ফাইজার হচ্ছে এলিট বা উচ্চশ্রেণীর ভ্যাক্সিন। মডার্না তার চেয়ে একটু নিচে উচ্চ মধ্যবিত্তের মধ্যে পড়ে। জনসন এন্ড জনসন নিন্ম মধ্যবিত্ত আর এস্ট্রোজেনিকা একেবারেই নিন্মশ্রেনীর মধ্যে অর্ন্তভুক্ত। স্পুটনিক-৫ একটু ভিন্ন ধাচের এলিট ভ্যাক্সিন।
কেউ ভাবছে না, সব ভ্যাক্সিনই ভাইরাসের বিরুদ্ধে সমানভাবে কার্যকর। ভ্যাক্সিনের মধ্যে কোন শ্রেণী নেই। Efficacy দিয়ে ভ্যাক্সিনের কার্যকরীতা পরিমাপ করা ঠিক নয়।
নিচের ইউটিউব ভিডিওটি দেখলে বুঝতে পারা যায় এই efficacy গুলি নির্ধারন হয়েছে কিভাবে। তাই এই সংখ্যাগুলিকে গুরুত্ব দেওয়ার কোন মানে হয় না।
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ফার্স্ট লেডি সোফি, প্রিমিয়ার ডাগ ফোর্ড, কনর্জাভেটিভ নেতা এরিন ও’টুল সবাই সবচেয়ে কম efficacy এস্ট্রোজেনিকা ভ্যাক্সিন নিয়েছেন। এরা জেনে বুঝেই নিয়েছেন।
তাই আসুন, আমরা যেন ভ্যাক্সিনের মধ্যে শ্রেনীবিন্যাস না করি।। এখানে শ্রেনীহীন ভ্যাক্সিনের কথা ভাবি। সব ভ্যাক্সিন ভালো এবং কার্যকর।