
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নায়িকা মুনমুনসহ ভোটরদের টাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে। জায়েদ খানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন নির্বাচনে পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নায়িকা নিপুণ।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদের নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে একটি ভিডিও দেখিয়েছেন নিপুণ। নিপুণের দাবি ভিডিওটি নির্বাচনের দিন ধারণ করা। ওই ভিডিওতে জায়েদ খানকে নায়িকা মুনমুনের হাতে কাগজের সঙ্গে কিছু একটা গুঁজে দিতে দেখা গেছে। হাতে কাগজ দেওয়ার আড়ালে জায়েদ খান টাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন নিপুণ।
ভোটের আগে টাকা নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে মুখ খুলেছেন মুনমুন।
ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, এফডিসিতে ঢোকার পর জায়েদ আমাকে একটা পেপার দিলো। প্যানেলের তালিকা। ভোটে যে সিল মারার বিষয় সেই বিষয়ে জায়েদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওই দিন কালো রঙের পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে কালো রঙের মাস্ক পরেছিলাম। মাস্কটিই আমি খুলে ব্যাগের মধ্যে রেখেছিলাম। কিছু কিছু ইউটিউবার একজন মানুষের সম্মান নিয়ে টানাটানি করছে। ধিক্কার জানাই তাদের। তারা আমার সম্মান নিয়ে টানাটানি করছে। আমি কি রাস্তার ভিখারি, আমি কি দুই টাকার আর্টিস্ট যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আমাকে টাকা দিতে হবে জায়েদের। আমি সেই টাকা নিয়ে তারপর ভোট দিতে যাবো। এই ধরনের কথার আমি প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি এই ধরনের কথা বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেব।
তিনি বলেন, টাকা দিয়ে আমাকে কিনবে? জায়েদের সেই সাহস আছে? জায়েদ আমাকে বড় আপা ডাকে। সেই জায়েদ কি রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে আমাকে টাকা দিয়ে কেনার সাহস রাখে? সেই টাকা খেয়ে আমি ভোট দেব- তাই না? আমার নামে এ ধরনের একটা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমার যদি টাকা নেওয়ার ইচ্ছে হয় জায়েদের থেকে, আমার বাসা তো জায়েদ চেনে। সে আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড। আমি চাইলে যে কোনোভাবেই জায়েদের থেকে টাকা নিতে পারি।
মুনমুন বলেন, আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি, আমাদের উচ্চপর্যায়ের অনেকেই ইউটিউবারদের এই নিউজ বিশ্বাস করেছে। এ নিয়ে তারা বিভিন্ন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছে। আমাকে আপনারা একটা ফোন দিতেন। আমার প্রতি তো আপনাদের একটা বিশ্বাস থাকা উচিত।