
দিনে ড্রাইভার হেলপার আর রাতে ভয়ঙ্কর ডাকাত
দিনে ড্রাইভার-হেলপার আর রাতে ভয়ঙ্কর ডাকাত। কেউ ফেরিওয়ালা বা ডাব বিক্রেতা সেজে পার করেন দিন। মাসখানেক ধরে রাজধানীর আশপাশের এলাকায় অপরাধ ঘটিয়ে চলছে বাস ডাকাত চক্র। সবশেষ একজন সরকারি চিকিৎসক ডাকাতির কবলে পড়লে সৃষ্টি হয় চাঞ্চল্য। এ ঘটনায় আটক ১৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, যাত্রীবেশে বাসে উঠে অথবা পিকনিকের নামে বাস ভাড়া করে, রাতভর চলে ডাকাতি।
গত ২১ জানুয়ারি কর্মস্থলে যাওয়ার পথে বাস ডাকাতির শিকার হন টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শফিকুল ইসলাম। ঘটনাটি দেশব্যাপী আলোচনায় আসার পর অভিযানে নামে পুলিশ। এর আগে গত ৬, ৯ ও ১৪ জানুয়ারিও সাভার, চন্দ্রা ও টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাস ডাকাতির ঘটনা ঘটে। প্রত্যেকটি ঘটনায় মিল পাওয়া যায় ডাকাতদের ধরনে। বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে দুই দফায় মোট ১৪ বাস ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযু্ক্তদের মুখেই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ডাক্তার শফিক যে বাসে ডাকাতির শিকার হন সেই আরবি পরিবহন বাস ডাকাতিতে নেতৃত্ব দেয় নাইমুর রহমান ও আল-আমিন। এই চক্রের কয়েকসদস্য বাস ডাকাতির সময় লস্কর রবিউল নামে এক যাত্রী হত্যার দায়ে গতবছর পিবিআইয়ের হাতে আটকও হয়েছিল। জামিনে বেরিয়ে আবারও শুরু করে একই কাজ।
পুলিশ বলছে, দিনে বিভিন্ন পেশার ছদ্মবেশ নিয়ে রাতে এরা বেরিয়ে পড়ে ডাকাতিতে। প্রতিটি ঘটনার পর বাসের চালক-হেলপার ও মালিকরা চুপ থাকায় অনেক ঘটনা চাপা পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে চালক-হেলপাররাও টাকার লোভে জড়িয়ে যায় চক্রের সাথে।
দুর্ধর্ষ ডাকাতরা লাইট অফ করে যাত্রী বেশেই অপকর্ম করে। তাই জেলায় জেলায় পুলিশের চেকপোস্টে এগুলো ধরা পড়ে না বলে দাবি গোয়েন্দা পুলিশের।