
বাংলাদেশে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে যারা জয়ী হয়েছেন তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। গনতান্ত্রিক প্রথায় সুষ্ঠ ভোটে প্রতিদ্বন্দিতার মধ্য দিয়ে জয় পরাজয় নির্ধারণ হয় এবং ভোট শেষে সকলে মিলে মিশে তাদের নির্ধারিত কর্তব্য সম্পাদন করে থাকেন।
কিন্তু গনতান্ত্রিক নির্বাচনের কথা যদি বলি তাহলে অপর একটি কথা একই সাথে বলতে হয় সেটা হলো জবাবদিহিতা। জবাবদিহিতা ছাড়া গনতন্ত্র হয় না, যেটা হয় তা হলো স্বেচছাচারিতা। এই নির্বাচনে জবাবদিহিতার প্রথম বিষয়টি হলো নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব দেয়া। প্রশ্ন হলো, এক একটা প্যানেল সম্মিলিত বা ব্যক্তিগতভাবে কতটাকা ব্যয় করতে পারবেন তা কি আগে থেকে নির্ধারণ করা ছিল? যদি থাকে তাহলে সেটা কত?
তারপরের প্রশ্ন হলো, কোন প্যানেল বা কোন প্রার্থী কতটাকা খরচ করেছেন তার সত্যিকার হিসাব দেয়া। যে পরিমান টাকাই খরচ করা হয়ে থাকুক না কেন তার উৎস কি ছিল সেটাও প্রকাশ করা নির্বাচন কমিশনের জরুরী কর্তব্য। আর যদি টাকা খরচের এবং হিসাব দেবার কোন বাধ্যবাধকতা আগে থেকে তাদের সংগঠনের সংবিধানে না থেকে থাকে, তাহলে এই নির্বাচনকে কোনভাবেই নির্বাচন বলা যাবে না, গণতান্ত্রিক তো নয়ই। এই প্রশ্নের উত্তর কি আদৌ পাওয়া যাবে? সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো এফডিসির গেইটে নায়ক নায়িকা ভিলেনদের এক নজর চেহারা দেখার আগ্রহের চেয়ে এই জন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনগনের কোন আগ্রহ আছে কিনা?