
অন্য স্তরের সরকার জরুরি তহবিল না দিলে ৩০ কোটি ডলারের মূলধনী প্রকল্প ও ১০০ কোটি ডলারের মেরামত কাজ বাতিল করতে হতে পারে টরন্টো সিটি কর্তৃপক্ষকে। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এই সতর্কতা উল্লেখ করা হয়েছে।
কোভিড-১৯ এর কারণে ঘাটতি পুষিয়ে নিতে টরন্টোর ২০২২ সালের বাজেটে ১৪০ কোটি ডলার অন্য স্তরের সরকারের কাছ থেকে আসার কথা। ২০২১ সালেও এমনটা হয়েছিল এবং শেষ মুহূর্তে প্রাদেশিক ও ফেডারেল সরকার ঘাটতি পুষিয়ে দিয়েছিল। তবে সিটির বাজেট কমিটির শুক্রবারের ব্রিফিং নোটে কর্মকর্তারা অর্থের সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি না পেলে নগরীর মূলধনী কর্মসূচিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, ৩০ কোটি ডলার বা মূলধনী বাজেটের ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাস এবং মেরামত কর্মসূচিতে প্রতিশ্রুত ১০৮ কোটি ডলার তহবিল বাতিল করা হলে সম্পত্তি কর না বাড়িয়েও ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে এটা করলে ১২ হাজার ৬০০ জন কর্ম হারাবেন এবং মেরামত কর্মসূচি আরও বেশি অনিস্পন্ন থেকে যাবে। ২০২২ সালে অনিস্পন্ন মেরামত কর্মসূচির আর্থিক পরিমাণ দাঁড়াবে ৭৪০ কোটি ডলার এবং ২০৩১ সালে ১ হাজার ৬৩০ কোটি ডলার।
সিটি হলে শুক্রবার সকালে এক ব্রিফিংয়ে টরন্টোর মেয়র জন টরি বলেন, অবকাঠামো ও মেরামতে আমরা যে বিনিয়োগ করছি তার ওপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। এসব কাজের অনেকগুলোই কয়েক বছর ধরে স্থগিত আছে এবং স্বাস্থ্যকর ও বর্ধিষ্ণু নগরের জন্য এটা খুব দরকারি। তাই সিটি ও তার অর্থনৈতিক ভবিষ্যত, সামনে এগিয়ে যাওয়া এবং টরন্টো তথা সমগ্র কানাডার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে সহায়তা দেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
টরন্টো সিটি এরই মধ্যে কোভিড-১৯ মহামারি সংক্রান্ত জরুরি সহায়তা বাবদ ২৮০ কোটি ডলার পেয়েছে। তবে টিটিসির যাত্রী মহামারি পূর্ববর্তী অবস্থঅয় পৌঁছাতে আরও সময় লাগবে। তাই সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা এখনই শেষ হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, টরন্টোর জন্য প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের পরিচালন বাজেট অনুমোদনের জন্য ১৭ ফ্রেব্রুয়ারি সিটি কাউন্সিলে যাচ্ছে।