
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে সিটি কর্তৃপক্ষ ক্লেভারডেল মল, দ্য হ্যাঙ্গার, দ্য মেট্রো টরন্টো কনভেনশন সেন্টা ও টরন্টো কংগ্রেস সেন্টারে চারটি গণ ভ্যাকসিনেশন ক্লিনিক চালু করেছে। টরন্টোর মেয়র জন টরি বলেন, অন্টারিও শুক্রবার রিওপেনিং পরিকল্পনার তৃতীয় ধাপে প্রবেশ করতে যাচ্ছে এবং আমি বিশ্বাস করি সংক্রমণের আরেকটি ঢেউ এড়াতে ভ্যাকসিনেশনের বিকল্প নেই।
উল্লেখ্য, ৬০ শতাংশ নাগরিককে পুরোপুরি ভ্যাকসিনেটেড করার মাইলফলক অর্জন করেছে টরন্টো। এই অবস্থায় সিটি কর্তৃপক্ষ নতুন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে, যাতে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে ভ্যাকসিনেশনের হার কম এমন নেবারহুডগুলোতে।
সিটি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হয়েছে, টরন্টোর ৬০ শতাংশ নাগরিক অনুমোদিত ভ্যাকসিনের উভয় ডোজ এরই মধ্যে নিয়ে ফেলেছেন।
নতুন এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিটি কর্মী ও স্বাস্থ্য অংশীদাররা নগরীর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ছয়টি এলাকার বাসিন্দাদের ভ্যাকসিন প্রদানে অসংখ্য ক্লিনিক স্থাপন করছেন। এলাকাগুলো হলো এমস-ওল্ড রেক্সডেল, কিংসভিউ ভিলেজ-দ্য ওয়েস্টওয়ে, মাউন্ট ডেনিস, মাউন্ট অলিভ-সিলভারস্টোন-জেমসটাউন, ওয়েস্টন এবং ইঙ্গলমাউন্ট-লরেন্স।
সার্বিকভাবে টরন্টোতে প্রথম ডোজ ও উভয় ডোজের ভ্যাকসিন নেওয়ার হার যথাক্রমে ৭৮ ও ৬০ শতাংশ হলেও নগরীর উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে এ হার এখনও যথাক্রমে ৫৯ ও ৩৬ শতাংশ।
ইটোবিকোকের কিংসভিউ ভিলেজ জুনিয়র পাবলিক স্কুলের একটি পপ-আপ ক্লিনিকে রোববার বক্তৃতা দেওয়ার সময় টরন্টোর মেয়র জন টরি বলেন, এই ক্লিনিক সম্পর্কে লোকজন কিভাবে জেনেছেন আমি সেটা শুনেছি। কেউ ইমেইলের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। কেউ আবার তাদের অ্যাপার্টমেন্টের লবিতে সাঁটানো পোস্টার দেখে জেনেছেন। বাকিরা জানতে পেরেছেন সংবাদের মাধ্যমে। এখন আমরা যাচ্ছি সেসব এলাকায় যেখানে ভ্যাকসিনেশনের হার এখনও কম।
জন টরি বলেন, যেসব এলাকায় ভ্যাকসিনেশনের কাক্সিক্ষত হার অর্জন করাটা শক্ত এখন আমাদেরকে সেসব এলাকায় যেতে হবে। নেবারহুড থেকে নেবারহুডে, কখনও কখনও ভবন থেকে ভবনে এবং কখনও কখনও অ্যাপার্টমেন্ট থেকে অ্যাপার্টমেন্টেও যেতে হবে। সেই সঙ্গে ভ্যাকসিন নেওয়াটা যে দরকার সেটাও তাদেরকে বোঝাতে হবে।