বিশেষ দিনে বিশেষ কোন অনুষ্ঠানে যেতে চাইছেন পছন্দের পোশাকটি পরতে। সেই সঙ্গে চাইছেন ম্যাচিং জুতা, গহনা ও আনুসাঙ্গিক সামগ্রী। কিন্তু বাধ সাধলো আপনার অগোছালো আলমারি। পছন্দের পোশাক তো খুঁজে পাচ্ছেনই না, উল্টো একটা টানতে গেলে অন্যটা পরে যাচ্ছে। তাই আলমারি গোছানোর সহজ কিছু টিপস জেনে নিন আজ। তাহলেই কম সময়ে যেভাবে খুঁজে পাবেন আপনার পছন্দের প্রয়োজনীয় পোশাক।
মাঝে মাঝে এমন অবস্থা হয় যে পছন্দের কাপড়, জামা আলমারিতে সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না। ক্ষেত্রে এমনও দেখা যায় যে, আলমারির দরজা খুললেই যেন হুড়মুড় করে অর্ধেক কাপড় পরে যায়। শুধুমাত্র না গোছানো বা এলোমেলো থাকার কারণেই এই অবস্থা। তাই প্রথমেই আলমারির সব কাপড় বের করে বিছানার ওপর ছড়িয়ে রাখুন। তারপর যে কাপড়গুলো আপনি আর কখনো পরবেন না বা গায়ে হয় না, কিংবা এখন আর পছন্দ হয় না কিংবা ফ্যাশন চলে গেছে, সেগুলো বের করে আলাদাভাবে একটি বাক্স বা ব্যাগে ভরে রাখুন। তাহলেই দেখবেন আলমারির অনেকটা জায়গা খালি হয়ে গেছে। এবার নতুন করে গোছাতে আর কোনো সমস্যা নেই!
এরপর কাপড়ের ধরণ, অর্থাৎ জিন্স, টি-শার্ট, কামিজ, স্কার্ট, শাড়ি, শার্ট, প্যান্ট, পুলওভার সব আলাদা করে নিন। এবং কাপড়ের রং ভেদেও আলাদা করুন। এবার কাপড়ের ধরণ, সাইজ, রং মিলিয়ে মিলিয়ে আলমারিতে গুছিয়ে রাখুন।
ওড়না, টাই, বেল্ট, টাইয়ের ক্লিপ ইত্যাদি ছোট জিনিসগুলো প্রায়ই খুঁজে পাওয়া যায় না। এ সব আলাদা করে আলমারির ভেতরের দরজায় ঝুলিয়ে রাখুন, যেন পোশাক পছন্দ করার সাথে সাথেই এই জিনিসগুলো পেতে অসুবিধা না হয়।
গরমকালে পরার স্যান্ডেল এবং শীতের জুতো আলাদা করে নিন। তারপর রং অনুযায়ী সাজিয়ে নিন। যেগুলো বেশি পরেন, সেগুলো আলমারির ভেতরে নীচের তাকে সামনের দিকে আর যেগুলো তেমন পরা হয় না সেগুলো পেছনের দিকে রেখে দিন।
গয়না গুছিয়ে না রাখলে অনেক সময় হারিয়ে যায় বা দরকারের সময় খুঁজেই পাওয়া যায় না। অনেক সময় আবার গলার চেইন একটার সাথে আরেকটা লেগে যায় এবং প্রয়োজনের সময় পরা যায় না। তাই কানের দুল এবং গলার মালা একসাথে করে ছোট বাক্সে রাখতে পারেন। আর বেশি বড় মালাগুলো কিন্তু দেয়ালে ঝুলিয়েও রাখা যায়। এছাড়া মেয়েদের ব্রা, প্যান্টি বা ছেলেদের আন্ডার গার্মেন্টসের মতো ছোট জিনিস আলাদা রাখতে পারেন।