
অটোয়া নিবাসী আমার বন্ধু সুমিত কাশি দিয়ে একজনকে ইশারা করেছিল। সে করোনা ভেবে ভয়ে পালিয়েছে।
সুমিতের স্ট্যাটাস পড়ে করোনাকালে আমার হাঁচি, কাশি নিয়ে বেশ কিছু বিপত্তির কথা মনে পড়ে গেল।
আমার ঠান্ডার এর্লাজী আছে। সারা বছর সর্দি কাশি লেগেই থাকে। গত বছর করোনাকালের প্রারম্ভে ঠান্ডা,সর্দি ও কাশি ছিল। তো একদিন ফ্যাক্টরিতে জোরে হাঁচি দিতে আমার আর্মেনিয়ান কলিগ লুসিয়া ও তার অপরূপা সুন্দরী কন্যা টিটার ভয়ে দৌড়ে সোজা ম্যানেজার মেরিকে বললো, রনি কাশি দিয়েছে!
ম্যানেজারও শুনে দৌড়ে এলো এবং বললো, রনি , এক্ষুনি বাসায় ফিরে করোনা টেস্ট করো।
কি আর করা, বাসায় তো ফিরলাম। করোনা টেস্ট করলাম। ২৪ ঘন্টার আগেই রেজাল্ট নেগেটিভ এলো। মেইলে রেজাল্ট অফিসে পাঠিয়ে দেই। কিন্তু আমি আর চাকুরিতে ফিরে যাইনি। সুন্দরী মেয়েগুলোর সানিধ্য আমাকে টানেনি। যে মেয়েরা ঠান্ডার দেশে সাধারণ হাঁচি, কাশি ভয় পায় তাদের সাথে কাজ করার আগ্রহ হয়নি।
আরেকবার মেট্রোতে রাতে বাসায় ফিরছি। একটু হাঁচি দেয়ায় ১০/১২ জন যাত্রী সিট ছেড়ে উঠে পড়েছে এবং পরের স্টেশন আসার পর দেখলাম পুরা বগি খালি করে ভেগেছে। আমি একাই যাত্রী। ৩/৪ স্টপেজ হতে কেউ ভয়ে আর আমার বগিতে উঠেনি।
আমি মহাখুশি। ভাবখানা এই, যেন বগি রির্জাভ করে মহারাজার মতন বাড়ি ফিরছি।
হা হা হা
মন্ট্রিয়ল, কানাডা