
বলিউড সুপারস্টার সালমান খান বড় পর্দায় দাঁড়ালেই নাকি সিনেমা হিট হয়- এমন কথা প্রচলিত আছে। গত ৩৩ রবছরে তিনি অনেক ব্লকবাস্টার ছবি উপহার দিয়েছেন বলিউডে। এই তারকা বলিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নেওয়াদেরও একজন।
সালমান খান অভিনীত অনেক সিনেমাই ১০০ কোটির ক্লাবে পৌঁছেছে। যদিও সালমান অভিনীত সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি সিনেমা যেমন-‘ভরত’, ‘রেডিয়ো ’একেবারে মুখ থুবরে পড়েছে বক্স অফিসে।
বলিউডের একটি সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে বলিউডের প্রথম তারকা হিসেবে সালমান একটি ছবির জন্য ১০০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন। এরপর ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ সিনেমার জন্য তিনি নেন ১৩০ কোটি রুপি । বর্তমানে এই তারকা ব্যস্ত রয়েছেন ‘টাইগার থ্রি’ সিনেমার শুটিং নিয়ে। শোনা গেছে, এই ছবির জন্যও তিনি ১০০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। অথচ এই ছবির বাজেটই ৩০০ কোটি রুপি।
সিনেমায় অভিনয় ছাড়াও, সালমানের আয়ের একটি বড় অংশ আসে প্রযোজন সংস্থা এবং অন্যান্য অনেক বিনিয়োগের মাধ্যমে। সালমান দাতব্যেও প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন।
জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে সালমান মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় এক কামরার গ্যাল্যাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন। এ ছাড়া অনেক জায়গায় তার সম্পত্তি রয়েছে। বোন অর্পিতার নামে মুম্বাইয়ের কাছে পানভেলে একটি বিলাসবহুল খামারবাড়িও তৈরি করেছেন সালমান। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, সালমানের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২২২৫কোটি টাকা।
অনেকেরই প্রশ্ন তাহলে মাসে কত টাকা আয় করেন সালমান খান?
বলিউডের একটি সূত্রে জানা গেছে, সালমান খানের মাসিক আয় প্রায় ১৬ কোটি টাকা।
অনেকেরই হয়তো জানা নেই, সালমানের জীবনে প্রথম রোজগার ছিল ৭৫ রুপি। এক সাক্ষাৎকারে সালমান খান জানান, তাজ হোটেলে একটি অনুষ্ঠানে ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার হিসেবে নাচতে গিয়েছিলেন, সেখান থেকেই তাকে ৭৫ রুপি দেওয়া হয় ।
তারপর ‘ম্যায় নে পেয়ার কিয়া’ ছবির জন্য সালমান পান ৩১ হাজার রুপি। সেই সময় সলমানের ছবি ‘ম্যায় নে পেয়ার কিয়া’ সব থেকে বেশি আয় করেছিল বক্স অফিসে। তবে অভিনেতা হিসেবে সালমানের প্রথম ছবি ছিল ‘বিবি হো তো অ্যায়সি’।