
চীনের রকেটের ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীতে নাকি আচড়ে পড়বে। কোথায় পড়বে তার কোন ঠিক নাই। জনবহুল জায়গায় পড়লে অনেক প্রানহানী ঘটতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি সমুদ্রে বা মহা সাগরে পড়ে। মন্দ লোকেরা বলতে চাইবে, রকেটের ধ্বংসাবশেষ যেন চীনের মাথাতেই পড়ে। এমন প্রার্থনা করা ঠিক নয়। কারন,এতে নিরিহ মানুষের প্রানহানী হতে পারে আর নিরিহ মানুষের প্রানহানী কেউ চায় না।
তবে এটা ঠিক, দেশটি একটার পর একটা অন্যায় করে যাচ্ছে। কাউকে কোন তোয়াক্কা করছে না।চীনের বিরুদ্ধে মানব সৃষ্ট কোরোনা ভাইরাস জীবানু অস্র হিসাবে ছড়িয়ে দেওয়ার অপ্রমানিত অভিযোগ আছে। অন্যান্য দেশ ভয়াবহভাবে আক্রান্ত হলেও দেশটি এখন দিব্যি ভালোই আছে। বিশেষ করে দেশটির প্রতিবেশী ভারত ভাইরাসের ভয়াবহতায় পর্যদুস্ত।গতকাল আক্রান্ত চার লক্ষ ছাড়িয়েছে। মৃত্যুর মিছিল হাজার হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। শশানে চলছে অগুনিত লাশ পুড়ানোর ঘটনা, কবরের স্থান সংকুলান হচ্ছে না।
চীন কমিউনিস্ট একনায়কতান্ত্রীক ব্যবস্থায় থাকায় দেশটি জবাবদিহির উর্ধ্বে থাকে। দেশটি নিজ দেশের জনগনের কাছেও জবাবদিহি করে না, বিশ্বের কাছেও জবাবদিহি করে না।
দেশটির লাগাম টেনে ধরারও কেউ নেই। দেশটি নিজে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ায় দেশটির উপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেও খুব একটা লাভ নেই বরং অনেক দেশ চীনের উপরেই উল্টো নির্ভরশীল।
কথা হচ্ছে, চীনা রকেটের ধংসাবশেষ অন্য দেশের ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়ে জানমালের ক্ষতি করলে তাতেও কি তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না? এর প্রতিকার কি?