
ঘরে বসে আয় করার সহজ মাধ্যম হলো ইন্টারনেট। এ প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে কেউ করছেন ফিল্যান্সিং, কেউ করছেন প্রোগ্রামিং কেউ বা আবার আয় করছেন কোডিং করে। সুন্দর সুন্দর ভিডিও তৈরি করেও আয় করা যায় ইউটিউব আর টিকটকের মতো অ্যাপসগুলোতে। এ সব তালিকায় এবার নাম উঠতে চলেছে ফেসবুক রিলসেরও।
ফেসবুকে প্রকাশিত শর্ট ভিডিওগুলোকেই বলা হচ্ছে ফেসবুক রিলস। অনেকেই ফেসবুকে স্বল্প সময়ের এ ভিডিওগুলো ক্রিয়েট করে থাকেন। তাদের জন্য এবার সুখবর। শখ করে যারা এ সব ভিডিও তৈরি করতেন এখন থেকে তারা সেসব ভিডিওর জন্য টাকা পেতে যাচ্ছেন। ফেসবুকের মালিকানাধীন সংস্থা মেটা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ফেসবুক পোস্টে মেটার সিইও মার্ক জ়াকারবার্গ বলেন, এখন পর্যন্ত রিলস আমাদের ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং প্ল্য়াটফর্ম এবং এটিকে আমরা সারা বিশ্বের সব ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করতে চলেছি।
সংস্থার তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ফেসবুকে এখন অর্ধেকেরও বেশি ইউজার অতিবাহিত করেন ভিডিওর জন্য। আর সেই কারণেই এ রিলস ফিচারের মধ্যে দিয়েই ক্রিয়েটরদের অর্থ উপার্জনেরও রাস্তা তৈরি করে দিতে তৎপর মার্ক জ়াকারবার্গের সংস্থা মেটা।
খুব শিগগিরি এটি চালু হবে। তবে এখনই ভারত ও বাংলাদেশের ফেসবুক ইউজাররা এ সুবিধা পাবেন না। আপাতত আমেরিকা, কানাডা ও মেক্সিকোয় রিলস থেকে রোজগারের সুযোগ মিলবে।
ফেসবুক কন্টেট ক্রিয়েটরদের কাছে এ প্ল্যাটফর্মটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এদিকে ভারতে নিষিদ্ধ হলেও বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু দেশে এখনও চালু রয়েছে টিকটক। সেই সব দেশে টিকটককে চ্যালেঞ্জ জানাতেও ভিডিও কন্টেট তৈরি করে ফেসবুক রিলস থেকে উপার্জনের সুযোগ করে দিতে এ ভাবনা।
কবে থেকে এ সুযোগ বাংলাদেশে চালু হবে এমন প্রশ্নে মেটার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান, প্রথমে মেক্সিকো, কানাডা আর আমেরিকাতে এই সুযোগ চালু হলেও খুব দ্রুতই বাকি সব দেশেই ধীরে ধীরে মিলবে রিলস থেকে আয় করার সুযোগ।
সেই সঙ্গে একটা বড় পরিবর্তনও হবে ফেসবুক রিলসে। এবার থেকে রিলসেও দেখা যাবে বিজ্ঞাপন। এ বিজ্ঞাপন হবে মূলত দুই ধরনের। একটি ব্যানার্স আর অন্যটি স্টিকার। প্রথম ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে রিলসের নিচে। অনেকটা স্বচ্ছভাবে সেটি ফুটে থাকবে সেখানে। স্টিকার্সের ক্ষেত্রে একেবারে স্টিকারের মতো তা আটকে দেওয়া যাবে রিলসে। ইউজাররা নিজের ইচ্ছেমতো তা ব্য়বহার করতে পারবেন।
নতুন ফেসবুক রিলসে রিমিক্স কিংবা স্টোরি শেয়ার করার পাশাপাশি আরও নতুন নতুন ফিচারও আনা হচ্ছে। এক মিনিটের ভিডিও তৈরি করে ড্রাফটে তা সেভও করে রাখা যাবে। এমনকি সাবস্ক্রিপশনের সুযোগও থাকবে। তাই বলা যায়, জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠতে ফেসবুকের রিলসকে আবারও নতুন আঙ্গিকে সাজাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে চলেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।