
মধ্যপ্রাচ্যের ফিলিস্তিন নামের যে এলাকা, সেটি ছিল অটোমান সাম্রাজ্যের অধীন। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোমানদের পরাজয়ের পর ব্রিটেন ফিলিস্তিনের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
তখন ফিলিস্তিনে যারা থাকতো তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল আরব, সেই সঙ্গে কিছু ইহুদী, যারা ছিল সংখ্যালঘু।
কিন্তু এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করলো যখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ব্রিটেনকে দায়িত্ব দিল ইহুদী জনগোষ্ঠীর জন্য ফিলিস্তিনে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার।
উনিশশো বিশ থেকে ১৯৪০ দশকের মধ্যে ইউরোপ থেকে দলে দলে ইহুদীরা ফিলিস্তিনে যেতে শুরু করে এবং তাদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ইউরোপে ইহুদী নিপীড়ন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভয়ংকর ইহুদী নিধনযজ্ঞের পর সেখান থেকে পালিয়ে এরা নতুন এক মাতৃভূমি তৈরির স্বপ্ন দেখছিল।
বৃটিশরা কোন রকম সমাধান না করেই ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন ত্যাগ করে। এরপর পুরো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ইহুদিদের দখলে চলে যায়। বর্তমানে এখানে ৬ লক্ষের মতো ইহুদিদের বসবাস। দিন দিন অধিকৃত এলাকায় ইহুদিদের বসতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাস্তবতা হচ্ছে, ইহুদিরা কখনই আর অধিকৃত এলাকা ছেড়ে যাবে না আর ফিলিস্তিনের জন্য পৃথক আবাসভূমিও হতে দিবে না।
ইসরাইলি বাহিনী যেখানে অত্যাধুনিক অস্রে সজ্জিত ফিলিস্তিনরা সেখানে পাথর ছুড়াছুড়িতে নিয়োজিত। ফিলিস্তিনদের পাশে অস্র সাহায্য নিয়ে কোন পরাশক্তি দাড়িয়ে নেই। এমনকি আরব দেশগুলি অনেক বড় বড় কথা বললেও কেউ ফিলিস্তিনদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে না।
এই সমস্যা এভাবেই সমাধানহীন ভাবে চলতে থাকবে। একসময় যারা শক্তিহীন, দুর্বল তারা নিঃশেষ হয়ে যাবে। এটাই বাস্তবতা।
টরন্টো, কানাডা