
ভ্যাকসিন পাসপোর্ট কাগুজে বা ডিজিটাল যাই হোক না কেন তা কোনো ব্যক্তি যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিয়েছেন সেটি প্রমাণ করতে সহায়তা করবে। এর ফলে তাদের জন্য ভ্রমণ এবং বিভিন্ন ধরনের সেবা ও সুবিধা গ্রহণের দরজা খুলে যাবে। তবে ভ্যাকসিন পাসপোর্টকে অবশ্যই প্রযোজ্য গোপনীয়তা আইনের সঙ্গে সাজুয্যপূর্ণ হতে হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে কানাডার প্রাইভেসি এজেন্সিগুলো। পাশাপাশি উত্তম চর্চাগুলোও এতে অন্তর্ভূক্ত করার কথা বলেছে তারা। ফেডারেল, প্রাদেশিক ও আঞ্চলিক প্রাইভেসি কমিশনাররা এ সংক্রান্ত একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছে।
কমিশনাররা বলেন, ভ্যাকসিন পাসপোর্টের মাধ্যমে লক্ষ্যণীয় সরকারি সুবিধা পাওয়া গেলেও একই সঙ্গে এটা ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপও। সতর্ক বিবেচনার ভিত্তিতেই কেবল তা গ্রহণ করা উচিত।
ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালুর ক্ষেত্রে কিছু সুপারিশও করেছেন তারা। আগ্রহীদের ভ্যাকসিন পাসপোর্ট প্রদানের জন্য বৈধ কর্তৃপক্ষ গঠন এর মধ্যে অন্যতম। এ ধরনের কর্তৃপক্ষ নতুন আইনের দ্বারা গঠিত হতে পারে। আবার বিদ্যমান জনস্বাস্থ্য আদেশের মাধ্যমেও গঠন করা যেতে পারে।
কমিশনারদের ভাষ্য, ভ্যাকসিন পাসপোর্ট কাঙ্ক্ষিত জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় হওয়া বাঞ্ছনীয়। একই সঙ্গে একে ফলদায়কও হতে হবে। তাছাড়া, গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হওয়ার যে ঝুঁকি, কাক্সিক্ষত প্রত্যেকটি জনস্বাস্থ্য উদ্দেশের সঙ্গে তাকে যুক্তিযুক্ত হতে হবে।
কমিশনাররা সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেন, সংক্রমণ প্রতিরোধে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা এখনও প্রমাণিত হয়নি। যদিও পরবর্তীতে এটি হবে বলে বৈজ্ঞানিক কমিউনিটির সদস্যরা ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ হবে নতুন একটি জনস্বাস্থ্য আদেশ বা আইন। এর আওতায় কোথাও প্রবেশ করতে গেলে অথবা সেবা নিতে গেলে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট প্রদর্শণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন কমিশনাররা। বিদ্যমান গোপনীয়তা আইন এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত কর্তৃত্ব প্রদান করতে পারে। কারও ভ্যাকসিন নেওয়ার ঘোষণাটি হতে হবে ঐচ্ছিক ও অর্থপূর্ণ। এর ভাষা হবে পরিস্কার ও সহজ। এছাড়া তথ্য সংগ্রহ, ব্যবহার, প্রকাশ ও সংরক্ষণেরও একটা সীমা থাকবে।