
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশটি আমার কাছে তার ক্ষমতা গ্রহনের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ বলে মনে হয়েছে।
জো বাইডেন করোনা ভাইরাসের উৎস খুঁজতে আমেরিকার গোয়েন্দাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
যে করোনা ভাইরাস এই পর্যন্ত বিশ্বের ৩৫৪৮৬১৬ প্রান কেড়ে নিয়েছে, যে ভাইরাসের কারনে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির চাকা থমকে গেছে, বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বানিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে, অসংখ্যা মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে, শিক্ষা ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে, সেই ভাইরাসের উৎস খুজে বের করা অবশ্যই জরুরী। এই ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে বহু ধরনের লেখা আছে, ভিডিও আছে, ডকুমেন্টারি আছে কিন্তু বেশির ভাগ অসমর্থিত এবং জোরালো প্রমানের অভাবে গ্রহনযোগ্য হতে পারে নাই। অকাট্য প্রমান যার মাধ্যমে সন্দেহাতীতভাবে জানা সম্ভব এই ভাইরাসের উৎস, সেই ধরনের প্রমান এখনো পর্যন্ত পাওয়া সম্ভন হয় নি।
এই ভাইরাসটি আসলে প্রকৃতিকভাবে সৃষ্ট নাকি মানব সৃষ্ট কোন জীবানু অস্ত্র তা কংক্রিট কোন প্রমানের দ্বারা establish করা সম্ভব হয় নাই।
যে ভাইরাসটি পৃথিবী স্তব্ধ করে দিয়েছে, অগনিত মানুষের মৃত্যুর কারন হয়েছে তার উৎস বের করা ভবিষতের নিরাপদ পৃথিবীর জন্য জরুরী। তানাহলে, একই রকম আরেকটি ভাইরাস পৃথিবীকে আবার অনিরাপদ করে তুলতে পারে।
এমন কি হতে পারে না, কোন দেশ নিজেরা অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে থাকার জন্য অন্য দেশগুলির অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য এই জীবাণু অস্ত্র তৈরিতে যুক্ত ছিল, পরে দুর্ঘটনাক্রমে তা তাদের ল্যাব থেকে লিকওয়াইট হয়ে যায়?
কিংবা এমনো কি হতে পারে না, করোনা নামক জীবাণু অস্ত্র তৈরি করে তা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে?
কিংবা এমনো কি হতে পারে না এটি শ্রেফ প্রকৃতির সৃষ্ট এক মহামারী?
মানব সৃষ্ট হয়ে থাকলে এর দায় নির্ধারণের জন্য এর উৎস বের করা অবশ্যই দরকার। অসংখ্য মানুষ হত্যা করে পার পেয়ে যাবে, এটি ঘোরতর অন্যায়, অগ্রহণযোগ্য।
জো বাইডেনের এই নির্দেশ সময়োপোযোগী এবং সুচিন্তিত। একে সাধুবাদ জানাই।
( উল্লেখ্য যে, এখানে অনেকেই হয়ত কমেন্টে লিংক দিবেন, ডকু দিবেন। সেই লিংকগুলি কিংবা ডকুমেন্টারীগুলি এখনো পর্যন্ত প্রমাণিত নয়)
টরন্টো, কানাডা