
পরিচয় গোপন করে বাংলাদেশে ভিসার আবেদন করেছিলেন ভারতীয় পর্নস্টার ও বলিউড তারকা সানি লিওন। পরিচয় গোপন করে আবেদন করায় বাংলাদেশ তা বাতিল করে দিয়েছে।
শুক্রবার (১১ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে মুক্তি ও মানবাধিকারবিষয়ক পাঁচ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভিসা আবেদনে নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে পরিচয় গোপন করায় তার ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, একটি চলচ্চিত্রের শুটিংয়ে অংশ নিতে ভারতীয় দশজন তারকা ভিসার আবেদন করেছিল। পরে যাচাই-বাছাইয়ে সানি লিওনের পরিচয় প্রকাশ পাওয়ায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় তার ভিসা বাতিলের সুপারিশ করে।
এর আগে গত ৯ মার্চ সানি লিওনের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অনিবার্য কারণে অভিনেত্রী করণজিৎ কর ওয়েভারের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করা হয়েছে।
‘সোলজার’ সিনেমার চিত্রায়ণে অংশ নেওয়ার কথা ছিল সানি লিওনের। বাংলাদেশে কাজের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল সংশ্লিষ্ট দফতরে। নিয়ম মেনে আবেদন করেছিল প্রযোজনা সংস্থা চেয়ারম্যান ফিল্ম সিন্ডিকেট। ৫ মার্চ থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকার অনুমতি পেয়েছিলেন তিনি।
এদিকে পাঁচ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক মুক্তি ও মানবাধিকার বিষয়ক চলচ্চিত্র উৎসবে ৪০টি দেশের ১৪০টি চলচ্চিত্র দেখানো হবে এ উৎসবে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে প্রতিদিন চারটি সিনেমা দেখানোর পাশাপাশি অনলাইনেও দেখানো হবে।
এ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এ ধরণের শর্টফিল্মে যেন তরুণ সমাজের জন্য বার্তা থাকে এবং সমাজ গঠনে যে ধরণের স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ভূমিকা রাখে সেগুলোকে প্রোমোট করতে হবে। বর্তমান তরুণ সমাজ অনলাইন দুনিয়ায় নিমজ্জিত। তাদের অনেকেই মাদকাসক্ত। তাদেরকে মাদকাসক্ত ও অপসংস্কৃতি থেকে রক্ষায় একটি সাংস্কৃতিক বিপ্লব গড়ে তুলতে হবে।
সিনেমার খারাপের দিন শেষ আগামীতে আরও ভালো সিনেমা নির্মিত হবে বলেও জানান হাছান মাহমুদ। এছাড়া নতুন সিনেমা হল নির্মাণ ও সংস্কারে সরকার ১ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ রাখার কথাও জানান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। মুক্তি ও মানবাধিকার বিষয়ক চলচ্চিত্র উৎসবটি চলবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত।