
মদ পান করে এবং ক্যানাবিস সেবন করে ৪০ শতাংশ চালক গাড়ি চালান বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন একটি গবেষণা। ম্যাড কানাডার সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালে মদ ও মাদক সংক্রান্ত ৮৬ হাজার ৮৬৪টি অভিযোগ ছিল কানাডিয়ান চালকদের বিরুদ্ধে। স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার তথ্য অনুযায়ী, অপ্রস্তুত অবস্থায় গাড়ি চালানোর হার ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে ১৯ শতাংশ বেড়েছে।
নিউ ইয়র্ক সিটির কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির মেইলম্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের রোগতত্ত্ব বিভাগের পোস্টডক্টরাল রিসার্চ ফেলো প্রিসিলা দিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি দুর্ঘটনার সাধারণ কারণ হচ্ছে মদ ও ক্যানাবিস সেবন করে গাড়ি চালানো।
সিএএ ন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, মদের পর ক্যানাবিস সেবনের কারণেই মোটর দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। সিএএর সমীক্ষা বলেছে, ১৮ থেকে ৩৪ বছর ১২ শতাংশ কানাডিয়ান ক্যানাবিস সেবনের পর নিজেদের ভালো চালক বলে মনে করেন। এটা ভুল এবং প্রতি পাঁচজনের একজন মনে করেন, তারা খুব বেশি গতিতে চলেছে ও গাড়িতে মদ্যপ চালক পেয়েছেন।
মদ ও ক্যানাবিস একসঙ্গে সেবন করলে গাড়ি চালোনা সম্পর্কিত বিপদ ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়ায়, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে। কানাডিয়ান সেন্টার অন সাবস্ট্যান্স ইউজ অ্যান্ড অ্যাডিকশনের তথ্য অনুযাযায়ী, কানাডাতেও গুরুতর সড়ক দুর্ঘটনার প্রধানতম কারণ মদ অথবা মাদক সেবনের পর গাড়ি চালানো। সেন্টার বলছে, গত তিন দশকের পরিস্থিতির লক্ষ্যণীয় উন্নতি হলেও সড়ক ব্যবহারকারীদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে অপ্রস্তুত অবস্থায় গাড়ি চালানো উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি হয়ে আছে। মোটরগাড়ি দুর্ঘটনায় যারা মারা যান তাদের এক-তৃতীয়াংশ থেকে অর্ধেকের ক্ষেত্রে মদ পান অথবা মাদক সেবন অথবা মদ পান ও মাদক সেবনের পর গাড়ি চালানো দায়ী।
কলাম্বিয়া তাদের জাতীয় সমীক্ষায় মাদক গ্রহণ ও গাড়ি চালানোর বিষয়ে ৩৪ হাজার চালকের কাছে প্রশ্ন রেখেছিল। তাদের মধ্যে অর্ধেকই মদ পান বা ক্যানাবিসন সেবনের পর গাড়ি চালান না বলে উত্তর দেন। তবে মদ পান ও ক্যানাবিস সেবনের পর গাড়ি চালানোর কথা স্বীকার করেন ৪২ দশমিক ৩ শতাংশ চালক।
কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির মেইলম্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের রোগতত্ত্ব বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ও গবেষণার জ্যেষ্ঠ লেখক পিয়া মৌরা বলেন, গত বছর মদ পান ও ক্যানাবিস সেবনের পর চালকদের গাড়ি চালানোর ঘটনা ছিল চমকে ওঠার মতো। নমুনা নেওয়া প্রতি পাঁচজনের মধ্যে দুইজনই মদ পান ও ক্যানাবিস সেবনের পর গাড়ি চালিয়েছেন।