
২০২১ সালের জন্য কোভিড-১৯ অপারেটিং বাজেট রিলিফ ফান্ডে আরও ৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার প্রদান এবং টিটিসিতে যাত্রী কমার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ও আশ্রয়ণ ব্যবস্থায় ২০২২ সালে ৭০ কোটি ২০ লাখ থেকে ১৫৩ কোটি ৪০ ডলার বরাদ্দ; নগরীর ২৪ মাসের হাউজিং অ্যান্ড হোমলেসনেস রিকভারি প্ল্যানে সহায়তা এবং আবাসনের অভাবে থাকা ব্যক্তিদের স্বার্থে জরুরি আশ্রয়ণকে স্থায়ী আবাসন সমস্যা সমাধান ব্যবস্থায় উন্নীত করা। টরন্টোর সাবওয়ে যানবাহনের প্রয়োজনে এবং ভবিষ্যতে ইগলিন্টন ইস্ট এলআরটি ও ওয়াটারফ্রন্ট ইস্ট এলআরটি ট্রানজিট লাইনের জন্য সিটি ও প্রদেশের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে টরন্টোর গণপরিবহন ব্যবস্থায় বিনিয়োগ অব্যাহত রাখাও মেয়র জন টরির অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। পাশাপাশি শক্তিশালী মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথাও বলেছেন টরন্টো মেয়র জন টরি। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নগরীর অগ্রাধিকারের রূপরেখা এভাবেই নির্ধারণ করেছেন জন টরি। এই অগ্রাধিকারের বেশিরভাগই কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে সরকারের চলমান সহায়তাকেন্দ্রিক।
অগ্রাধিকারগুলোর তালিকাসম্বলিত চিঠি শুক্রবার দলীয় নেতাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের আগে লিবারেল, কনজার্ভেটিভ, এনডিপি ও গ্রিন পার্টি ইস্যুগুলো কিভাবে দেখছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
শুক্রবার সকালে জন টরি বলেন, আমাদের চাহিদা অনেক। নেতাদের কাছে আমরা জানতে চাই আবাসন, মানসিক স্বাস্থ্য, ট্রানজিটে বিনিয়োগের ব্যাপারে তাদের পরিকল্পনা কি। আসন্ন নির্বাচনে সম্পৃক্ত হওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। কারণ, আমি দলীয় লোক নই। তবে কোন প্ল্যাটফরম নগরীর ইস্যুগুলো সবচেয়ে ভালোভাবে তুলে ধরছে সে ব্যাপারে মতামত জানাতে আমার দ্বিধা নেই।
মেয়রের তালিকায় থাকায় অগ্রাধিকারগুলোর বেশিরভাগই মহামারি সম্পর্কিত। তিনি বলেন, সিটি কর্তৃপক্ষ চায় কোভিড-১৯ এর তহবিল অংশীদারি অব্যাহত থাকুক ও বর্ধিত হোক। একই সঙ্গে মহামারির মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যে সহায়তায় বাড়তি তহবিলও চায়।