
টরন্টো এলাকার দুটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগী ভর্তি অব্যাহত রয়েছে। সেখানেই ট্রমা নার্স হিসেবে কর্মরত আছেন এরাম চোগালা। মহামারির ঢেউয়ের সময় রোগীর সংখ্যা যত ছিল এখন তার চেয়ে অনেক কমে গেছে। কিন্তু রোগটি কী ঘটিয়েছে এবং এখনও কী ঘটাতে সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে তা।
এ সপ্তাহে এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে চোগালা বলেন, এর আগে যখন মহামারির ঢেউ চলছিল তখন উচ্চ সংখ্যায় রোগী আসছিলেন। একই ঘটনা আবারও ঘটে কীনা সেই দুশ্চিন্তায় আছি আমি।
মাস্ক পরিধানে বাধ্যবাধকতা ও কোভিড-১৯ সংক্রান্ত অন্যান্য বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেওয়ায় কানাডিয়ানদের অনেকেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পেরেছেন। কিন্তু জনবল সংকট ও অন্যান্য প্রক্রিয়াগত কাজের স্তুপ স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বস্তি দিচ্ছে না।
চোগালা বলেন, জনগণ যে আরও স্বাভাবিক জীবন চাইছেন আমি সেটা বুঝতে পারি। কিন্তু মাস্ক পরিধানের ওপর থেকে বাধ্যবাধকতা আগেভাগেই প্রত্যাহার করা হয়েছে। এটা উদ্বেগের। আরেকটি ঢেউ মোকাবেলায় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে প্রস্তুত করতে আরও অনেক কিছু করার বাকি আছে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারায় অনেকেই হয়তো উৎফুল্ল। কিন্তু আমার মনে হয়, আমরা এখনও স্বাভাবিক হতে পারি নি।
মহামারির ধাক্কা থেকে কেউই বাদ যায়নি বলে জানান ৩৬ বছর বয়সী চোগালা। তার নিজের বাবা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তিনি বলেন, আমাদের চিন্তার, অনুভুতি ও কাজের ধরনই বদলে দিয়েছে মহামারি।
কানাডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (সিএমএ) ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী প্রায় ৪০টি সংগঠন ধুঁকতে থাকা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সামনে আসা বিষয়গুলো জরুরিভিত্তিতে সমাধানে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে। সিএমএর প্রেসিডেন্ট ক্যাথেরিন স্মার্ট জরুরি বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে বলেছেন, সরকার ও কানাডিয়ানরা যখন মহামারিকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে চাইছে, তখন স্বাস্থ্য খাতের ক্লান্ত ও নিঃশেষিত জনবল রোগীদের সময়ানুগ ও প্রয়োজনীয় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। জমে থাকা পরীক্ষা-নিরীক্ষা, অস্ত্রোপচার ও নিয়মিত সেবা প্রদানেও গলদঘর্ম হতে হচ্ছে তাদের।
দুই বছরেও মুক্তি নেই কানাডার পরিশ্রান্ত নার্সদের
সোহেলি আহমেদ সুইটি
টরন্টো এলাকার দুটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগী ভর্তি অব্যাহত রয়েছে। সেখানেই ট্রমা নার্স হিসেবে কর্মরত আছেন এরাম চোগালা। মহামারির ঢেউয়ের সময় রোগীর সংখ্যা যত ছিল এখন তার চেয়ে অনেক কমে গেছে। কিন্তু রোগটি কী ঘটিয়েছে এবং এখনও কী ঘটাতে সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে তা।
এ সপ্তাহে এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে চোগালা বলেন, এর আগে যখন মহামারির ঢেউ চলছিল তখন উচ্চ সংখ্যায় রোগী আসছিলেন। একই ঘটনা আবারও ঘটে কীনা সেই দুশ্চিন্তায় আছি আমি।
মাস্ক পরিধানে বাধ্যবাধকতা ও কোভিড-১৯ সংক্রান্ত অন্যান্য বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেওয়ায় কানাডিয়ানদের অনেকেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পেরেছেন। কিন্তু জনবল সংকট ও অন্যান্য প্রক্রিয়াগত কাজের স্তুপ স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বস্তি দিচ্ছে না।
চোগালা বলেন, জনগণ যে আরও স্বাভাবিক জীবন চাইছেন আমি সেটা বুঝতে পারি। কিন্তু মাস্ক পরিধানের ওপর থেকে বাধ্যবাধকতা আগেভাগেই প্রত্যাহার করা হয়েছে। এটা উদ্বেগের। আরেকটি ঢেউ মোকাবেলায় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে প্রস্তুত করতে আরও অনেক কিছু করার বাকি আছে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারায় অনেকেই হয়তো উৎফুল্ল। কিন্তু আমার মনে হয়, আমরা এখনও স্বাভাবিক হতে পারি নি।
মহামারির ধাক্কা থেকে কেউই বাদ যায়নি বলে জানান ৩৬ বছর বয়সী চোগালা। তার নিজের বাবা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তিনি বলেন, আমাদের চিন্তার, অনুভুতি ও কাজের ধরনই বদলে দিয়েছে মহামারি।
কানাডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (সিএমএ) ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী প্রায় ৪০টি সংগঠন ধুঁকতে থাকা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সামনে আসা বিষয়গুলো জরুরিভিত্তিতে সমাধানে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে। সিএমএর প্রেসিডেন্ট ক্যাথেরিন স্মার্ট জরুরি বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে বলেছেন, সরকার ও কানাডিয়ানরা যখন মহামারিকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে চাইছে, তখন স্বাস্থ্য খাতের ক্লান্ত ও নিঃশেষিত জনবল রোগীদের সময়ানুগ ও প্রয়োজনীয় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। জমে থাকা পরীক্ষা-নিরীক্ষা, অস্ত্রোপচার ও নিয়মিত সেবা প্রদানেও গলদঘর্ম হতে হচ্ছে তাদের।