
আগামী দুই বছরে ক্লিনিক্যাল কাজ কমিয়ে আনার কথা ভাবছেন কানাডার প্রায় অর্ধেক চিকিৎসক। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে শ্রান্তি বাড়তে থাকায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে নতুন এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে।
কানাডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন গেল হেমন্তে ৪ হাজারের বেশি চিকিৎসকের ওপর সমীক্ষাটি চালায়। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৫৩ শতাংশ চিকিৎসক উচ্চ মাত্রায় শ্রান্তির কথা জানান। ২০১৭ সালে পরিচালিত একই রকম সমীক্ষার ফলাফলের চেয়ে যা ৩০ শতাংশ বেশি। এর ফলে ৪৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী আসছে মাস বা বছরে ক্লিনিক্যাল কাজ কমিয়ে আনার কথা ভাবছেন।
অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ডা. ক্যাথেরিন স্মার্ট সিপি২৪কে বুধবার সকালে বলেন, শ্রান্তি যে সর্বকালের সর্বোচ্চে পৌঁছবে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমরা জানি যে, স্বাস্থ্য কর্মী ও চিকিৎসকার মহামারিজুড়ে নিরলসভাবে সম্মুখসারিতে ছিলেন। এছাড়া দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাত মহামারির আগেই ধুঁকছিল। এর ফলে শ্রান্তিটা অস্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছেছে। কারণ, আমাদের কাজ ও চূড়ান্ত আকাক্সক্ষা হলো রোগীর প্রয়োজন পূরণ করা। কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা এতোটাই ভঙ্গুর যে জনগণের জন্য সেটা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াচ্ছে, শেষ পর্যন্ত যে এই মাত্রায় ক্লান্তি তৈরি করছে। সেটাই আমরা সমীক্ষার ফলাফলে দেখতে পাচ্ছি।
কানাডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন সমীক্ষার আংশিক উপাত্ত প্রকাশ করেছে কেবল। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন এ বছরের শেষ দিকে প্রকাশ করবে অ্যাসোসিয়েশন। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রতি ১০ জনের ৬ জন অর্থাৎ ৫৯ শতাংশ মহামারির সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির কথা জানিয়েছেন। ৫৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী এর জন্য কাজের বাড়তি চাপকে দায়ি করেছেন। আর ৫৫ শতাংশ দায়ি করেছেন ঘন ঘন নীতি ও পদ্ধতি পরিবর্তনকে।
স্মার্ট বলেন, কাজের চাপের কারণে সুস্থ্য থাকতে রোগীর যা প্রয়োজন চিকিৎসকরা তা দিতে পারছেন না। এটা চিকিৎসা পেশার আনন্দকে চুরি করে নিচ্ছে এবং চিকিৎসকরা অবসন্ন বোধ করছেন। এ কারণে কিছু চিকিৎসক তাদের কাজের চাপ কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করছেন, যা সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেবে।